E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খেয়াঘাট ইজারার ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলা

দুদকের খুলনার উপপরিচালক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী হাইকোর্টে 

২০২১ ফেব্রুয়ারি ১৪ ১৭:১৩:১৪
দুদকের খুলনার উপপরিচালক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী হাইকোর্টে 

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলার ছয়টি খেয়াঘাট ইজারার ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়েরকৃত মামলায়  দুদকের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক নাজমুল হাসান ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আহসান হাবিব রবিবার স্বশরীরে হাইকোর্টের কাঠগড়ায় হাজির হয়েছেন। 

হাইকোর্টের এনেক্স ২৭ নং আদালতের বিচারক বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোঃ মহিউদ্দিন শামীম তাদেরকে পক্ষভুক্ত হয়ে আগামি ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

একইভাবে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি মোঃ খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারি এসএম নাজমুল হোসেনের অন্তবর্তীকালি জামিন শুনানীর জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে তাদেরকে আইনজীবীর জিম্মায় দেওয়া হয়। পক্ষভুক্ত হতে বলা হয়েছে খেয়াঘাটে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে অভিযোগকারি অ্যাড. সত্যরঞ্জন মণ্ডলকে।

উচ্চ আদালতের এ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাড. সত্যরঞ্জন মণ্ডল।

প্রসঙ্গত, বাংলা ১৪১৫ সাল থেকে ১৪২৪ সাল বা ইংরেজি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার ২১টি খেয়াঘাটে এক কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৮ টাকার ইজারা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ইজারাদাররা এক কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা জেলা পরিষদের কোষাগারে জমা দেন। চেউটিয়া, কালিগঞ্জ বাজার, ঝাঁপালি-মাদারবাড়িয়া, কালিকাপুর নাসিমাবাদ, ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর এবং হাজরাখালি বিছট খেয়াঘাটসহ খেয়াঘাটের জন্য বকেয়া থাকে ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮২০ টাকা।এর মধ্যে শুধুমাত্র আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের কাছে বকেয়া ছিল ১০ লাখ ৬০ হাজার ১২৮ টাকা।

এ নিয়ে জেলা পরিষদে তদন্ত হলে তৎকালিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানের দিকে দূর্ণীতির অভিযোগ ওঠে। ইজারারা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি মোঃ খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারি এসএম নাজমুল হোসেন দায়িত্ব পালন করেননি মর্মে দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়। সে অনুযায়ি গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক নাজমুল হাসান বাদি হয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দূর্ণীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তাদের কার্যালয়ে এ মামলা(২) দায়ের করেন অবু হেনা শাকিল, অ্যাড. নুরুল আমিন, জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারি খলিলুর রহমান, নিম্নমান সহকারি নাজমুল হাসানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে।

৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোঃ মহিউদ্দিন শামীম এর আদালত থেকে ১৫ দিনের অন্তবর্তীকালিন জামিন পান আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল। ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারি খলিলুর রহমান, নিম্নমান সহকারি নাজমুল হাসান অন্তবর্তীকালিন জামিন আবেদন করলে বিচারকদ্বয় তাদেরকে আইনজীবীর জিম্মায় দিয়ে দুদকের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক নাজমুল হাসান ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদেরজ প্রধান নির্বাহীকে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test