E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘মর্যাদা রাখতে পারেননি বলেই জিয়ার খেতাব কেড়ে নেয়া হচ্ছে’

২০২১ ফেব্রুয়ারি ১৯ ২৩:৪১:৩৪
‘মর্যাদা রাখতে পারেননি বলেই জিয়ার খেতাব কেড়ে নেয়া হচ্ছে’

শাহ আলম শাহী, দিনাজপুর : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় দেয়া বীরউত্তম খেতাবের মর্যাদা জিয়াউর রহমান রাখতে পারেননি বলেই আজকে জিয়াউর রহমানের সেই খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)’র এ সিদ্ধান্ত আমরা সমর্থন করি। কারণ,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।'

শুক্রবার বিকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় নবনির্মিত বিরল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু তাকে ‘বীরউত্তম’ খেতাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর জিয়াউর রহমান সেই মর্যাদা ধরে রাখতে পারেনি। জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে সে হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন। পাশাপাশি কুখ্যাত শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। গোলাম আজমকে ফিরিয়ে এনেছেন। আব্দুল আলীমের মতো কুখ্যাত রাজাকারকে তিনি রেলমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না- যে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ মোশতাক জারি করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সেটাকে আইনে পরিণত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান খুনিদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থীতে রূপান্তরিত করার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করেছেন। জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন।

’খালিদ বলেন, ‘তাই একজন ভালো মানুষও যেকোনো সময় খারাপ মানুষ হয়ে যায়। আবার কোনো খারাপ মানুষও ভালো মানুষ হয়ে যায়। সকল মুক্তিযোদ্ধা সারাজীবন মুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারে না। কিন্তু রাজাকার সারাজীবনের জন্য রাজাকার। জিয়াউর রহমান তার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা ভূমিকা ধরে রাখতে পারেনি। সে খলনায়কে পরিণত হয়েছে। অনেকেই অনেক কথা বলেন। আজকে মহানায়ককে খলনায়কের সঙ্গে তুলনা করেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিতর্কিত করা হয়েছিল। সংবিধানের মূলনীতিকে ছেটে ফেলা হয়েছিল। আদালতের রায়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে জিয়ার শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ রায়ের আলোকে সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়ার সুযোগ সুবিধা বন্ধ করা হয়েছিল। সেদিন খালেদা জিয়া কোনো প্রতিবাদ করেনি।’

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মো. শোয়াইবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

স্থানীয় ও আশপাশের উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অসংখ্য মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

নৌ প্রতিমন্ত্রী ভাষা শহীদদের স্মুতিতে ফুল দিয়ে নব-নির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন।

এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সেতাবগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ এবং নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test