কালিগঞ্জে বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আদালতের নোটিশ উপক্ষো করে নিয়োগ পরীক্ষা

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : আদালতের কারণ দর্শাণোর নোটিশ পাওয়ার পরও সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। এজন্য নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র হিসেবে আগামি রোববার সকাল ৯ টায় সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

কালিগঞ্জের বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক অভিভাবক সদস্য মোঃ নুরুল হক গাজী জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল লাচ্চু ও প্রধান শিক্ষক মোঃ মোনারুল ইসলামের অনিয়ম ও টাকার বিনিময়ে ভালো প্রার্থীকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত খারাপ পরীক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছিলেন তিনিসহ কয়েকজন সদস্য।

প্রতিবাদে গত বছরের ২৬ আগষ্ট অভিভাবক সদস্য হিসেবে তিনি, আকরাম হোসেন গাজী, প্রসাদ কুমার সরকার, ডাঃ শঙ্কর সরকার ও শিক্ষক প্রতিনিধি রায়হানুল হক ১১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি থেকে পদতাগ করেন। একই দিনে তারা ওইসব অনিয়মের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।

তিনি আরো জানান, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজস করে অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২১ জানুয়ারি স্থানীয় ও একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিলে তিনি বাদি হয়ে বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ সাতজনকে বিবাদী করে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন। বাদি কমিটির সদস্য নন উল্লেখ করে ৪ ফেব্র“য়ারি বিচারক মামলা খারিজ করে দেন। ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে ১৫ ফেব্র“য়ারি আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাণোর নির্দেশ দেন।

২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিবাদীগণ আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশ পান। এরপরও বিবাদীগণ পরিকল্পিতভাবে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে পাতানো নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিকে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আগামি রোববার দিন ধার্য করেছেন। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল লাচ্চু বলেন, নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যক্তিকে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে কোন দূর্ণীতির সূযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়োগের আগে নুরুল হক কিভাবে জানলেন যে দূর্ণীতি হচ্ছে? একইভাবে কথা বলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ মোনারুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যমোর শিক্ষা বোর্ড চিঠি দিলে তিনি ডিজি প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ বোর্ডে কর্মকর্তা পাঠাবেন। তবে দূর্ণীতির বিষয়টি তার জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১)