E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মার্চ-এপ্রিল ইলিশ ধরা নিষেধ

আজ থেকে পদ্মা-মেঘনায় জাটকা রক্ষা কার্যক্রম শুরু

২০২১ মার্চ ০১ ১৩:২৪:৫৭
আজ থেকে পদ্মা-মেঘনায় জাটকা রক্ষা কার্যক্রম শুরু

উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় আজ ১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে জাটকা রক্ষায় জেলেদের দুই মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার কার্যক্রম। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস ইলিশসহ নদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

মতলবের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে কঠোর অভিযান চলবে। ইতিমধ্যে ইলিশ অভয়াশ্রমে জাটকা রক্ষার অভিযান সফল করার জন্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নেতৃত্বে জেলা টাস্কফোর্স বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসক ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাটকা রক্ষায় গঠিত জেলা টাস্কফোর্স কমিটি নদীতে যাতে কেউ জাল ফেলে মাছ ধরতে না পারে, সেজন্যে প্রয়োজনীয় অভিযান চালাবে। মৎস্য কার্যালয়, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড একক বা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবে। নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে নদীতে কেউ জাল ফেলে মাছ ধরলে তার বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে কোনো মূল্যে মেঘনায় জাটকা রক্ষার কর্মসূচি তারা বাস্তবায়ন করতে চায়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, চাঁদপুর জেলার নদীবেষ্টিত মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর এই চার উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৫১ হাজার ১৯০ জন। এসব জেলেকে জাটকা নিধন থেকে বিরত থাকার জন্যে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নদী উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও মৎস্য আড়তগুলোর সামনে ব্যানার সাঁটানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের বরাদ্দকৃত চাল এসে গেছে। এখন বিতরণ কার্যক্রম চলবে। প্রথম দুই মাসে ৪০ কেজি করে জনপ্রতি জেলে পরিবার ৮০ কেজি চাল পাবে। এরপর আরও দুই মাসের বরাদ্দ আসবে।

বিগত জাটকা মওসুম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নদীর তীরবর্তী ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় সরকারদলীয় কিছু লোক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে জেলেদের নদীতে পাঠায় এবং নিষিদ্ধ সময় জাটকাসহ অন্যান্য মাছ ধরছে। এদেরকে চিহ্নিত করে এবার যদি আইনের আওতায় আনা হয় তাহলে ইলিশের এই প্রজনন মওসুমে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি অনেকটাই সফল হবে-এমন অভিমত পর্যবেক্ষক মহলের।

(ইউ/এসপি/মার্চ ০১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test