E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিনুকে আর্থিক ক্ষমতা প্রনয়নের দাবি

আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় পাংশা সরকারি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত 

২০২১ মার্চ ০৪ ১৬:২৮:১৫
আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় পাংশা সরকারি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত 

আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : এর আগে পাংশা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কলেজের একাধিক শিক্ষক প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিভিন্ন সমস্যার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেছেন সত্যিই আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ও আর্থিক কাজ চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একটি কলেজে অধ্যক্ষ না থাকলে প্রতিষ্ঠানটি নেতৃত্বসংকটে ভোগে। অধ্যক্ষ তাঁর সহকর্মীদের কাজ তদারক করেন। তিনি প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়াদির দায়িত্বেও থাকেন। জানা গেল, ১০ হাজার শিক্ষার্থীর পাংশা কলেজে অধ্যক্ষ নেই প্রায় চার মাস। সে কলেজে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক শামিমা আকতার মিনুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেলেও পাননি আর্থিক ক্ষমতা। সে ক্ষেত্রে কলেজটি কেমন চলছে, তা সহজেই বোধগম্য।

নেতৃত্ব ছাড়া সংগঠন হয় না। আর সে নেতৃত্বের সঙ্গে কিছু কর্তৃত্বও থাকে। নিয়মিত অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কোনো একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও কর্তৃত্ব প্রয়োগে তিনি কিছুটা সংশয়ে রয়েছেন। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেও থাকবে ফাঁক। আর্থিক বিষয়াদির নিষ্পত্তিতে পদক্ষেপ না থাকা স্বাভাবিক নয়। আর্থিক পাওয়ার বিহীন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যাবলী সামাল দেওয়াও যেকোনো অধ্যক্ষের জন্য একটি দুরূহ কাজ। যার প্রভাব এসে পড়ে শিক্ষা কার্যক্রমের উপর।

এমনিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অন্য সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাব্যবস্থাকেও পর্যুদস্ত করে ফেলেছে। এর অবসানে কীভাবে হারানো সময়ের ক্ষতি পোষানো যায়, তার একটি ছকও একজন অধ্যক্ষ তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে করে রাখতে পারেন। কেউ কেউ হয়তো করেছেনও। তবে শিক্ষকের আর্থিক ক্ষমতা নেই, শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না সেখানে এমনটা আশা করা যথার্থ হবে না। এ পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি অনুসারে কারণ কয়েক জন শিক্ষকের আর্থিক ও ক্ষমতার লোভ। সে ক্ষেত্রে বলতে হবে ব্যাপারটি শুধু দুঃখজনক নয়, অগ্রহণযোগ্যও বটে।

পাংশার এই কলেজটি যেহেতু সরকারি কলেজ, এখন পরিচালনার সামগ্রিক দায়িত্ব সরকারের। সেখানে অধ্যক্ষকে আর্থিক ক্ষমতা না দেওয়া থাকলে বিভিন্ন অর্থের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়।

এই সরকারি কলেজে প্রায় ১০ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী শিক্ষা নিচ্ছে। আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা এগুলোকে পরিপূর্ণ সুন্দরভাবে চালানোর ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও অন্তরায় হতে পারে। তবে কয়েকজন শিক্ষকের ক্ষমতা আর অর্থের লোভে আর্থিক পাওয়ার না থাকার জন্য তার প্রভাব শিক্ষা কার্যক্রমে পড়বে এমন হওয়ার কথা নয়।

এখানে যদি শিক্ষক রাজনীতি বা ব্যক্তিগত আক্রোশকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তবে তার প্রভাব এসে পড়বে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর। এ অবস্থাটা এখন সর্বত্র বিরাজমান। সরকারি কলেজের এসব ক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু হবে, এমনটা আশা করা হয়না। তবে আর্থিক ক্ষমতাটা পরে যদি হয় তবে সময়মতো হবে না কেন? এর কোনো গ্রহণযোগ্য জবাব কারও কাছে নেই।

এ ব্যাপারে উক্ত কলেজের একাধিক সাধারণ শিক্ষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে এখন পর্যন্ত আর্থিক ক্ষমতা প্রনয়ন করা হয়নি। যার জন্য আমরা আমাদের বেতন পাচ্ছিনা, অর্থের সাথে সংশ্লিষ্ট কলেজের বিভিন্ন কার্য পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চায় আমাদের সাধারণ শিক্ষক এবং এই প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামিমা আক্তার মিনুকে এই ক্ষমতা প্রদান করা হোক।

(একে/এসপি/মার্চ ০৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test