E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে নোটিশ

ভূতুরে বিদ্যুত বিলের প্রতিবাদ করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নেয়ার অভিযোগ

২০২১ মার্চ ০৫ ১৭:৫৪:৪৬
ভূতুরে বিদ্যুত বিলের প্রতিবাদ করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নেয়ার অভিযোগ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : পল্লী বিদ্যুতের ভূতুরে বিল দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ করায় এক গ্রাহককে মিথ্যে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে নোটিশ দেয়ার পাশাপাশি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে গত দেড় মাস ধরে বিদ্যুতবিহীন রয়েছেন ওই গ্রাহক। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের।

শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের মাওলানা আনোয়ার হোসেনের পুত্র ভূক্তভোগি গ্রাহক ফারুক হোসেনের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে তিনি ৮০ ইউনিট বিদ্যুত ব্যবহার করলেও তাকে ১৭০ ইউনিটের বিল দেয়া হয়েছে। এরপূর্বে নভেম্বর মাসে তার ৫৭১ টাকা বিল আসলেও ডিসেম্বর মাসে তাকে ৯৭৪ টাকার বিলের কাগজ দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি (ফারুক) পল্লী বিদ্যুতের গৌরনদী জোনাল অফিসে যোগাযোগ করার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, তার কাছে পূর্বের বকেয়া বিল রয়েছে। এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট দেখানোর জন্য বলা সত্বেও বিদ্যুত অফিস থেকে তাকে (ফারুক) কিছু দেখানো যাবেনা বলে ¯্রফে জানিয়ে দেয়া হয়।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে ডকুমেন্ট না দেখালে ভূতুরে বিল সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করা সত্বেও কোন সুফল মেলেনি। এসময় ভূতুরে বিল সংশোধন করা না হলে তিনি (ফারুক) বিল পরিশোধ করবেন না বলে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে গত জানুয়ারি মাসে তার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে আনা হয়। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারী জোনাল অফিস থেকে একটি নোটিশের মাধ্যমে হুকিং করে অবৈধভাবে বিদ্যুত ব্যবহারের অভিযোগ এনে গ্রাহক ফারুক হোসেনকে ২৫ ফেব্রুয়ারী অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়। অন্যথায় তার (ফারুক) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুমকি প্রদর্শন করা হয়েছে।

ফারুক হোসেন বলেন, ভূতুরে বিল সংশোধন না করায় আমার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে আনার পরেও উল্টো মিথ্যে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ পেয়ে আমি দিশেহারা হয়ে বিদ্যুত অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার পর তারা আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করা না হলে আমার ঘরে জীবনেও কোনদিন বিদ্যুত সংযোগতো দেয়াই হবেনা উল্টো আমাকে মামলা জড়ানোর হুমকি দেয়া হয়।
অসহায় ফারুক হোসেন পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের গৌরনদী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জুলফিকার হায়দার চৌধুরী বলেন, ট্রান্সফরমারের এলটি বুশিং থেকে ফারুক হোসেন হুকিং করে অবৈধভাবে বিদ্যুত ব্যবহার করেছেন। যে কারণে তার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে এসডিসহ মিটার খুলে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে ফারুক হোসেন বলেন, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে খামেখেয়ালীভাবে তিনি মনগড়া অভিযোগ করেছেন। যার কোন সত্যতা নেই।

(টিবি/এসপি/মার্চ ০৫, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test