E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিবিরের নেতা তথ্য গোপন করে বাগিয়ে নিয়েছে নৌকা

২০২১ মার্চ ০৬ ১৮:২০:৫০
শিবিরের নেতা তথ্য গোপন করে বাগিয়ে নিয়েছে নৌকা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১০নং গারুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্য্যান এএসএম জুলফিকার হায়দারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনিয়নবাসী।

বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সংবাদ সম্মেলনে বাঁধা প্রদান করে চেয়ারম্যানের অনুসারীরা। এসময় সংবাদকর্মীরা প্রতিবাদ করায় চেয়াম্যানের অনুসারীরা প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন হাওলাদার। তিনি বলেন, সরকারি গভীর নলকুপ নিতে প্রতিটির জন্য ৩০হাজার টাকা গ্রহণ করা, গৃহহীনদের সরকারি ঘর দেয়ার জন্য নগদ টাকা গ্রহন এবং ঘরের মালামাল গোপনে বিক্রি করা, ভিজিএফ, ভিজিডি’র চাল, ঈদ ও কোরবানীর সময় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বিশেষ বরাদ্দের চাল আত্মসাত, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের জন্য দেয়া ভাতার কার্ড টাকার বিনিময়ে বিক্রিসহ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান জুলফিকার বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবিরের সক্রিয় নেতা হয়েও তথ্য গোপন করে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী লাভ করেন। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকেই বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাদ দিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে শক্তিশালী করার কর্মকান্ডে সে নিজেকে জড়িত করেন। ফলে সরকারের তৃণমূল মানুষের জন্য আসা সাহায্য সহযোগিতার সুফল থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন ইউনিয়নবাসী।

এ নিয়ে চেয়ারম্যান জুলফিকারের বিচারের দাবিতে বিভিন্নসময়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকারের সকল দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কথা অভিযোগ আকারে উপজেলা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার পরেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকারের জামায়াত শিবিরের সাথে যুক্ত থাকার প্রমান তুলে ধরা হয়। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এই জামায়াত শিবির নেতা জুলফিকারকে যেন নতুন করে মনোনয়ন দেয়া না হয় সেজন্য ইউনিয়নবাসী সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভূক্তভোগিরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এএসএম জুলফিকার হায়দার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষ গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

(টিবি/এসপি/মার্চ ০৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test