E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চিকিৎসকের কাছে শ্লীলতাহানির শিকার গৃহবধূ

২০২১ মার্চ ১৫ ১৫:৩১:১৪
চিকিৎসকের কাছে শ্লীলতাহানির শিকার গৃহবধূ

চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের চক্ষু চিকিৎসক মুকিত শফিউল আলমের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে শ্রীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

রবিবার ১৪ মার্চ বিকেলে ফরিদগঞ্জ পাইকপাড়া গ্রাম থেকে এক সুন্দরী গৃহবধূ চোখ দেখাতে তার মাকে সাথে নিয়ে চাঁদপুর শহরের কদমতলা অডিটোরিয়ামের পিছনে ডাক্তার মুকিতের বাসায় আসেন।

এ সময় গৃহবধূকে ডাক্তার কক্ষে নিয়ে পাশের রুমে তার মাকে রেখে আসেন। গৃহবধূর এলার্জি জনিত কারণে চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। মুকিত শফিউল আলম গৃহবধূর চোখে ওষুধ দিয়ে তার বুকে ও শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। ওই সময় গৃহবধূ চিৎকার দিয়ে চোখের ডাক্তার মুকিতের রুম থেকে বের হয়ে মাকে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।

তার কান্না আহাজারি বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাকে সাথে নিয়ে মুকিতের বাসায় গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানেন। এ সময় ডাক্তার মুকিত ঘটনাটি সমাধান করার অনুরোধ করে গৃহবধূর কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চান।

এ বিষয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হওয়া গৃহবধূ জানান, চোখের সমস্যার কারনে মাকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের বাসায় আসি। এ সময় ডাক্তার তার কক্ষে নিয়ে চোখে ওষুধ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জোরপূর্বক হাত দিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ডাক চিৎকার করলে সে ছেড়ে দিলে তাৎক্ষণিক তার বাসা থেকে বের হয়ে আসি। আমি এই লম্পট নারী নির্যাতনকারী চোখের ডাক্তার মুকিতের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই। এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় এলাকাবাসী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মুকিত ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কয়েকজন দালাল মুকিতের পক্ষ নিয়ে এসে ঘটনাটি আর কাউকে না জানানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ১৫ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি সমাধানের লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশী বৈঠক করবে বলে আশ্বস্ত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর পূর্বেও চক্ষু চিকিৎসক মুকিত শফিউল আলমের বিরুদ্ধে অনেক সুন্দরী যুবতী ও গৃহবধূকে শীলতা হানি অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে তার পূর্বের কর্মস্থল চাঁদপুর মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক মুকিত শফিউল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি তার চোখের চিকিৎসা সেবা করছিলাম। তারা আমার নামে যেসব অভিযোগ তুলছে তা মিথ্যে বানোয়াট। আমি তার সাথে এমন আচরণ করিনি।

তিনি আরো বলেন, সে যে তার মায়ের অজান্তে একটি মোবাইল ব্যবহার করে, সেটি তার মাকে না বলার অনুরোধ করে সেই বিষয়ে সে আমার সাথে কথা বলছিল।

(ইউ/এসপি/মার্চ ১৫, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test