মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচার চাইলের মুক্তিযোদ্ধারা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধাকে লাঞ্চিতের ঘটনার বিচার চাইলেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এ বিচার দাবী করেন তারা। মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিতের ঘটনায় উত্তাল আমতলী।   

জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফাহাদ এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে সোমবার বিকেলে থানার সামনে চায়ের দোকানে বসে চা পান করতেছিল। ওই সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধা ওই চায়ের দোকানে প্রবেশ কালে পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার ধাক্কা লাগে। এতে আওয়ামীলীগ নেতা পুলিশ কর্মকর্তার উপর ক্ষেপে যান। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা ফাহাদ পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায় তাকে লাঞ্চিত করে যুবলীগ নেতা ফাহাদ এমন দাবী মুক্তিযোদ্ধার।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা ফাহাদকে মারধর করে নুরুল ইসলামের লোকজন। বর্তমানে ফাহাদ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ফাহাদ বাদী হয়ে ১১ জনের নামে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে লাঞ্চিত এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বুধবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও বিক্ষোখ মিছিলের আয়োজন করে।

প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে লাঞ্চিতের ঘটনায় বিচার এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবী করেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রতিবাদ সভার পরপরই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করা হয়। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাডভোকেট একেএম সামসুদ্দিন আহম্মেদ শানুর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা শাহানুর মাষ্টার, আবুল হাসেম মাষ্টার, গাজী দেলোয়ার হোসেন, আব্দুর রশিদ ও সামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ। মানববন্ধনে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধন শেষে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

লাঞ্চিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের জন্য প্রাণবাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। আজ সেই স্বাধীন দেশেই আমি সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছি। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করছি।
আহত উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ মোঃ ফাহাদ বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, যুবলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আগামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(এন/এসপি/মার্চ ২৪, ২০২১)