E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সেন্ট মার্টিন ট্র্যাজেডি

সপ্তম দিনেও নিখোঁজ ২ ছাত্র, উদ্ধার অভিযান বন্ধ

২০১৪ এপ্রিল ২১ ১৫:৩৪:৩১
সপ্তম দিনেও নিখোঁজ ২ ছাত্র, উদ্ধার অভিযান বন্ধ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ থাকা দুই শিক্ষার্থীর এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি। পয়লা বৈশাখের দিন সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে এসে পরিবারের মাঝে বিষাদের জন্ম দিয়ে সাগরে নিখোঁজ সাব্বির হাসান স্বাগত ও উদয় মাহমুদের লাশের সন্ধান ৭ দিনেও মেলেনি। তাদের জীবিত ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন স্বজনেরা। তবে জীবিত না হোক অন্তত মৃতদেহের সন্ধানেস্বজনরা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন। শুধু আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করছেন তাদের স্বজনরা। অন্তত ছেলের লাশ একনজর দেখতে চান তারা।

এদিকে নিখোঁজ দুই লাশের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছেন কোস্টগার্ড, নেভি, পুলিশ ও স্থানীয়রা। সাব্বির হাসান রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির ১৫১ নম্বর বাড়ির দোতলায় মা বাবার সাথে থাকতেন। তার এক ভাই ও এক বোন রয়েছে। মেধাবী সাব্বিরের পিতা হাসানুর রহমান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। এখন অবসর প্রস্তুতিকালীন (এলপিআর) ছুটিতে রয়েছেন। ইশতিয়াক বিন মাহমুদ (উদয় মাহমুদ)। বাবা-মা’র সঙ্গে থাকতো ৩২-এ ১৬ (ফ্ল্যাট-৪৫) বাসাবো মায়াকাননের বাসায়। তার পিতা মাহমুদউল্লাহ একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মাতা দিল আফরোজ বেগম স্কুল শিক্ষিকা। ভাইবোন তিন জনের মধ্যে সবার বড় ইশতিয়াক।
এদিকে রোববার সপ্তম দিনের মতো দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযান শেষে সন্ধ্যায় অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার হারুন উর রশীদ জানিয়েছেন, নিখোঁজ থাকা দুই শিক্ষার্থীর সন্ধানে সেন্ট মার্টিনের পাশাপাশি টেকনাফ, শাহাপরীর দ্বীপ, কক্সবাজার ও কুতুবদিয়া উপকূলে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সাত দিন ধরে উদ্ধার কাজ চালালেও তাদের কোনো খোঁজ না মেলায় সন্ধ্যায় অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে নিয়মিত নজরদারি রয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল সোমবার রাজধানী ঢাকার আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ ছাত্রের একটি দল কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে আসে। ওইদিন দুপুর ২টায় সেন্টমার্টিন সৈকতে গোসল করার সময় নয় জন স্রোতের টানে ভেসে যায়। এ সময় মোনফেরুল ইসলাম ইভান ও সাদ্দাম হোসেন নামে দুই জনের মৃত্যু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ফয়সাল, ফারহান ও আসিফ নামে তিন জনকে।
এ ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ ছিল। এরপর থেকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গত ১৬ এপ্রিল শাহারিয়ার ইসলাম নোমান ও গোলাম রহিম বাপ্পির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ইতশিয়াক বিন মাহমুদ উদয় ও সাব্বির হাসান।
(টিটি/এএস/এপ্রিল ২১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test