E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘ন্যায়বিচারের জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন’

২০১৪ আগস্ট ২৮ ১৭:৪১:১৪
‘ন্যায়বিচারের জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন’

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নিজামুল হক বলেছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। বিচার ব্যবস্থার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে মনে রাখতে হবে হাশরের দিন আল্লাহ বিচারকদেরও বিচার করবেন। এই কথা মনে রেখে কাজ করলে জনগণ নিশ্চয়ই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে না।

বিচার ব্যবস্থার অনেক সমস্যা থাকলেও সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করলে বিচার ব্যবস্থার অবশ্যই উন্নতি হবে। অতীতের তুলনায় বর্তমানে বিচার ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। আইনজীবীগণ জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। তাদেরকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলে জনগণ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।

বিচারপতি মো. নিজামুল হক বুধবার রাতে হবিগঞ্জ বার লাইব্রেরীতে তাঁর সম্মানে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমানের সভাপতিত্বে এবং এডভোকেট মনজুর উদ্দিন আহমেদ শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ মাহবুব উল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহতাব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনজুরুল হক খান। বিচারপতি নিজামুল হক ৩ দিন হবিগঞ্জ সফরকালে বিভিন্ন আদালতের বিচারকার্য পরিদর্শন করেন।

এদিকে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে জেলা বারের সদস্য ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এডভোকেট মো. আবু জাহিরকে আমন্ত্রণ না দেয়ায় আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সদস্যবৃন্দ এবং সরকারী আইন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠান বর্জন করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোক্তার লাইব্রেরীতে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সভাপতি এডভোকেট মো. আকল মিয়া। সভায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তলবী সভা আহবানের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন জানান, এমপি আবু জাহিরকে দাওয়াত দেয়া হয়নি কথাটি সঠিক নয়। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আর বারের রীতি হল নোটিশ দিয়ে দাওয়াত দেয়া। কোন সিনিয়র আইনজীবী, এমপি, এমনকি মন্ত্রীকেও আলাদাভাবে বাসায় গিয়ে দাওয়াত দেয়া হয়নি। আওয়ামী আইনজীবী ও সরকারী আইনকর্মকর্তারা অনুষ্ঠান বর্জন করেননি। অনেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

(পিডিএস/এএস/আগস্ট ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test