E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

জেলেদের চাল বরাদ্দ নিয়ে বিপাকে ইউপি চেয়ারম্যানরা 

২০২১ এপ্রিল ১৭ ১৫:১৬:০৩
জেলেদের চাল বরাদ্দ নিয়ে বিপাকে ইউপি চেয়ারম্যানরা 

উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : বর্তমান জাটকা মৌসুম তথা অভয়াশ্রমকালে জেলেদের জন্য যে চাল বরাদ্দ দেয়া হয় তা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। ইউনিয়ন প্রতি তালিকাভুক্ত যে পরিমাণ জেলে রয়েছে তা থেকে ৮শ’ থেকে এক হাজার কম জেলের জন্য সরকারি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতি ইউনিয়নে ৮শ’ থেকে এক হাজার জেলের কম চাল বরাদ্দ আসে। আর এই বাদপড়া জেলেদের বাদ দিয়ে চার বিতরণ করতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে চেয়ারম্যানদের। আবার বাদপড়াদের পুরো বঞ্চিত না করে সবাইর সাথে সমন্বয় করে চাল দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে চেয়ারম্যানদের। অনেক ক্ষেত্রে তাদের চুরির অপবাদও নিতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যানদের অনেকেই চাল বিতরণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তারা অহেতুক ঝামেলা থেকে রক্ষা পেতে এর বিকল্প কিছু নাই বলে তারা মনে করেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছর থেকে জাটকা মৌসুমের চাল আমরা তালিকাভুক্ত জেলের চেয়ে কম পাই। করোনার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে আমরা জানতে পারি।

তারা জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ২১ হাজার ৫শ’ ৬৮ জন। গত বছর থেকে জাটকা মৌসুমে আমরা চাল বরাদ্দ পেয়ে থাকি ১৬ হাজার ৮শ’ ৩জনের। বাদ পড়ে ৪ হাজার ৭শ’ ৬৫ জন। প্রতি ইউনিয়নে গড়ে ৮শ’ থেকে এক হাজার জেলে বাদ পড়ে। এই বাদপড়াদের নিয়ে আমাদের বিপাকে পড়তে হয়। তাদের তো কোনো অপরাধ নেই। তারা কেনো বাদ পড়বে ? এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ব্যাপারটাও আমাদের কাছে অমানবিক মনে হয়। এ বিষয়টি আমরা মানবিক দৃষ্টিতে নিয়ে কাউকে বঞ্চিত না করে সকলের সাথে সমন্বয় করে বরাদ্দকৃত চাল সবার মাঝে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেই আমরা। এ সিদ্ধান্ত আমরা স্থানীয়ভাবে ননঅফিসিয়ালভাবে নেই। এতে করে নির্ধারিত চল্লিশ কেজির চেয়ে ৫/৭ কেজি করে কম পেলেও তালিকাভুক্ত সকল জেলে চাল পেলো। এতে জেলেদের কোনো অভিযোগ নেই। অথচ অতি উৎসাহী কিছু লোক এই কম দেয়া নিয়ে অপপ্রচার করে থাকে এবং চেয়ারম্যানদের নিয়ে বিষোদগার করে থাকে। এমনকি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাত করা বা চুরি করার অপবাদও অনেকে দিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় অহেতুক ঝামেলা এবং আত্মসাতের অপবাদ থেকে বাঁচতে কয়েকজন চেয়ারম্যান এই চাল আর উত্তোলন করবেন না বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের একজন জনপ্রতিনিধির সাথে কথা হলে তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যানরা যেটা করছেন সেটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে করছেন। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত হচ্ছে যত সংখ্যক জেলের জন্য চাল বরাদ্দ এসেছে তত সংখ্যক জেলের মাঝেই চাল বিতরণ করতে হবে। মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে গিয়ে চেয়ারম্যানরা সকল জেলেকে চাল দিচ্ছেন। তাতে জেলেরা নির্ধারিত পরিমাণ থেকে তো কম পাবেই। তবে বিচার বিশ্লেষণ না করে কাউকে আত্মসাৎ করা বা চুরি করার অপবাদ দেয়া খুবই অন্যায়। ঢালাওভাবে এসব নেতিবাচক কথা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

(ইউ/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test