E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কটিয়াদী গণহত্যা দিবস আজ

২০২১ এপ্রিল ২৪ ১৪:৫০:২৮
কটিয়াদী গণহত্যা দিবস আজ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : আজ ২৪ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী উপজেলায় প্রথম হানা দেয়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করে ১১ জন নিরীহ মানুষকে। 

স্বাধীন বাংলার পাতাকা বিক্রি করে ছাত্রলীগ কর্মীরা স্থানীয় বিনাপানি ফার্মেসী থেকে। এই খবর পেয়ে পাকবাহিনী বিনাপানি ফার্মেসীসহ শতশত দোকান আগুনে পুড়িয়ে দেয় ও সম্পদ লুটপাট করে। সেদিন দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনী কটিয়াদীতে হানা দেয়ার পূর্বে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক এলজিইডি মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ আশরাফের মামা আসাদুজ্জামান মিয়া বাইসাইকেল চড়ে সবাইকে পালিয়ে যেতে আহ্বান জানায়। হাজার-হাজার জনতা ব্রহ্মপুত্র নদের অপর পাড় চরমান্দালীয়া গ্রামে আশ্রয় নেয়।

২৪ এপ্রিল পাক বাহিনীর আক্রমনের পর এই রাতেই মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে তৎকালীন বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইপিআর সিপাহী (পরর্বতীতে ক্যাপ্টেন) শেখ হারুন, আব্দুর রশিদ তারা মাষ্টার ও অর্থনীতিবিদ ড. রমনী মোহন দেবনাথের নেতৃত্বে ভোরে কটিয়াদী থানা আক্রমণ করে এবং অস্ত্র ভান্ডার লুট করে। ১৭টি বন্দুক ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। পাক বাহিনীকে সাহায্য করায় তৎকালীন থানার ওসি মাজাহারুল হক নিহত হয়। এরপর শুরু হয় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর দফায় দফায় আক্রমণ।

কটিয়াদী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে, মড়লভোগ রেলব্রিজ, বনগ্রাম, মানিকখালী রেলস্টেশন ও ধূলদিয়া ব্রিজে গণহারে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে পাকবাহিনী। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ও জনতাসহ এই উপজেলায় ১২৭ জন শহীদ হয়।

জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও উপজেলার বধ্যভূমি সমূহ সংরক্ষণের অভাবে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে পৌরসভার কটিয়াদী পাইলট বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলকটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবে বেহাল দশা। স্মৃতিফলকে সাতজনের নাম থাকলেও বাদ পড়েছে অনেক শহীদের নাম এমনটাই দাবী শহীদ পরিবারের লোকজনের। এ নিয়ে আক্ষেপ, ক্ষোভ ও হতাশার শেষ নেই শহীদ পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসীর।

কটিয়াদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত বলেন, উপজেলায় সংঘটিত একাত্তরের গণহত্যার ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে মুক্তিযোদ্ধের সকল স্মৃতি সংরক্ষণে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

(ডিডি/এসপি/এপ্রিল ২৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test