E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসির ছবিকে ভুলভাবে উপস্থাপনে জনমনে প্রশ্ন 

২০২১ এপ্রিল ২৭ ১৭:২৩:৫৭
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসির ছবিকে ভুলভাবে উপস্থাপনে জনমনে প্রশ্ন 

জসিম উদ্দিন জুয়েল, টঙ্গী (গাজীপুর) : টঙ্গীতে সম্প্রতি একজন ছাত্র নেতা সম্পর্কে উঠেছে মাদক সহ নানা অপরাধে জড়িত হবার অভিযোগ। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী পূর্ব থানার হিমারদিঘি নোয়াগাঁও এলাকার হোসেন আলির ছেলে রেজাউল করিম (৩২) ২০১৬ সালে টঙ্গী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। 

সম্প্রতি টঙ্গীর পূর্ব থানার মরকুন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সাইদা বেগমের সাথে রেজাউলের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। তারপর টিকেট বিক্রেতা থেকে প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ হয়ে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ব্যবসা থেকে শুরু করে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় রেজাউলের অঢেল সম্পত্তির কথা এখনমানুষের মুখেমুখে। খন্দকার লুৎফুল কবির (পিপিএম) ফোনালাপটির সত্যতা নিশ্চিতে কাজ করছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে টঙ্গী কলেজ শাখার সভাপতি কাজী মনজুর জানান, তাদের কমিটি অনেক আগেই মেয়াদত্তীর্ণ হয়ে গেছে। একসাথে রাজনীতি করলেও রেজাউলের মাদক সম্পৃক্ততার কথা তিনি জানেন না। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদটি ইদানিং প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু দৈনিক প্রথম আলোর গাজীপুর প্রতিনিধি মাসুদ রানার ২৫শে এপ্রিল করা প্রতিবেদনে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসির সাথে রেজাউলের আংশিক ছবি ব্যবহার করাহয়েছে।

উল্লেখ্য যে,টঙ্গী পশ্চিম থানার অন্তর্গত টঙ্গী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে ইলেকট্রনিক্স মেলাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত হন। ডিউটিরত অবস্থায় টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলমের সাথে সেদিন টঙ্গী কলেজ কক্ষে আলোচনা সভায় কলেজের সম্পাদক হিসেবে অভিযুক্ত রেজাউলওছিলো। দুখঃজনক ভাবে অন্যান্য উপস্থিতিদের বাদ দিয়ে রেজাউল এবং ওসি শাহ আলমের একটি আংশিক ছবি দিয়ে ঐ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।অথচ প্রতিবেদনের কোথাও টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসির এসবে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ নেই। বরং ফাঁস হওয়া ফোনালাপ অংশেরেজাউলকে বলতে শোনা যায়, “টঙ্গী পূর্ব থানার সাবেক ওসি কে দিয়ে তিনি যা খুশি তা-ই করাতেন”।

এলাকার মানুষ বলেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের সাক্ষাৎখুব স্বাভাবিক। সেদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্য উপস্থিত মেহমানদের বাদ রেখেটঙ্গী পশ্চিম থানার ওসির ছবি ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে একের পর এক মাদক আটক, হত্যা, ছিনতাইমামলা তদন্ত করে আসামি সনাক্ত, চোর-ডাকাত ধরে আইনের আওতায় আনা,কিশোর গ্যাং উৎপাত বন্ধ, করোনাকালীন মানবিক ও জন সচেতনতায় প্রংসশনীয় কাজ, তরুন-যুবকদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করায় এলাকায় সস্থি বিরাজ করছে।

প্রতিবেদনের সাথে ছবির কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। এলাকার শান্তিশৃঙলা বজায় রাখা এবং বিশেষ করে ব্যাপক মাদক উদ্ধার তৎপরতায় টঙ্গী পশ্চিম থানা যখন মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তখনি অফিসার ইনচার্জ শাহ আলমের আংশিক ছবি ব্যবহার করে উনার ভাবমূর্তি ও মানষিকতা ভেঙে দেয়াই এর উদ্দ্যেশ্য কিনা এলাকার গণ্যমাণ্য সহ সর্বসাধারণের এমনটাই প্রশ্ন।

(জে/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test