E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রসহ তিন জনের মৃত্যু

২০১৪ আগস্ট ৩১ ১৬:৫৭:৪২
শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রসহ তিন জনের মৃত্যু

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে এক স্কুলছাত্রসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যার পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। চতুর্দিকে বন্যার পানি উঠায় সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ৩১ আগস্ট রবিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে চরাঞ্চলের ৫ টি ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ৩৫ টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির প্রভাবে মৃগী ও দশানি নদীর পানি বাড়ায় শেরপুর পৌর এলাকর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বন্যার পানিতে এসব এলাকার অর্ধপাকা আউশ আবাদ, সদ্য রোপন করা আমন ও সব্জীর আবাদ তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার পোড়ার দোকান ‘কজওয়ের’ ওপর দিয়ে রবিবার প্রায় দেড়ফুট উচ্চতায় বন্যার পানির প্রবলবেগে প্রবাহিত হচ্ছে। কজওয়ের বানের পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে শনিবার বিকেলে আব্দুর রশিদ (১৪) নামে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। দমকল বিভাগের ডুবুরিয়া সহ স্থানীয় লোকজন প্রায় ১৮ ঘন্টা চেষ্টার পর কজওয়ের পাশের একটি খাদ থেকে রবিবার সকাল ১০ টার দিকে নিখোঁজ স্কুলছাত্র রশিদের লাশ উদ্ধার করে। সে চরশ্রীপুর উচ্চ বিধ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র এবং কান্দাপাড়া গ্রামের জানিক মিয়ার ছেলে।

এদিকে, কামারের চর এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবন্ত ক্ষেতের আউশ ধান কাটতে গিয়ে শনিবার বিকেলে সমেজ উদ্দিন (৪০) নামে এক কৃষক পানিতে ডুবে মারা যায়। নিহত সমেজ উদ্দিন চরমোচারিয়া ইউনিয়নের চরবাববনা গ্রামের কিতাব উদ্দিনে ছেলে বলে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম শিপন জানিয়েছেন। অপরদিকে, চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুড়া খড়িয়া গ্রামের জমসেদ আলী (৬৫) নামে এক ব্যক্তি শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ীর পাশের বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়। বন্যার পানিতে এসব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় পানিবন্দী লোকজনকে নৌকা এবং কলার ভেলায় যাতায়াত করতে দেখা যায়।

শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বন্যার পানিতে চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার আউশ ও রোপা আমন আবাদ তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু সব্জী আবাদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন।


(এইচবি/এএস/আগস্ট ৩১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test