E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্ষতিপূরণ পাবে বৃদ্ধ ফরিদের পরিবার : নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক

২০২১ মে ২৩ ১৮:৩২:৩৩
ক্ষতিপূরণ পাবে বৃদ্ধ ফরিদের পরিবার : নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক

মোঃ শান্ত, (নারায়ণগঞ্জ সদর) : ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দীন আহমেদের পরিবার। সরকারী হটলাইন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে বৃদ্ধ ফরিদ খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন। তবে তিনি খাবার পাননি উল্টো ১০০ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হয় তাকে। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে নিউজ করা হলে চাঞ্চ্যলকর অবস্থা সৃষ্টি হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: মোস্তাইন বিল্লাহ রবিবার (২৩ মে) সকালে জানিয়েছেন ফরিদ উদ্দীনের পরিবারকে ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন ফরিদ উদ্দীনের পরিবারের বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের যে পরিমান খরচ হয়েছে সেসব ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা র্নিবাহী কর্মর্কতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আজই তাদের ক্ষতি পূরন প্রদান করা হবে।

বৃদ্ধ ফরিদ এক সময়ে স্থানীয় এক হোসিয়ারি কারখানায় কাটিংমাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ব্রেন স্ট্রোক করার পর ক্ষীন দৃষ্টিশক্তির জন্য কাজ করতে পারেন না। ওই কারখানাতে শ্রমিকদের উপর নজরদারী রাখার জন্য মাসে ৮ হাজার টাকা পান তিনি। তাতে কোনরকমে চলছিল তার সংসার। তার সংসারে ১৬ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী ছেলে, স্নাতক পড়ুয়া মেয়ে ও তার স্ত্রী রয়েছেন। করোনা কালীন সময়ে পরেছে মহা সংকটে। তাই নিরূপায় হয়ে তিনি ৩৩৩ নম্বারে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান ফরিদ। কিন্তু সরকারী সহায়তা তো পাননি, উল্টো তাকে ৪ তলা ভবনের মালিক এমন ভুল তথ্যের কারনে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরার নির্দেশে তাকে ১০০ জনের মাঝে চাল, আলু, ডাল, লবণ ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী বিতরন করতে হয়েছে।

বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দীন আরো বলেন, আমার আর্থিক অবস্থা খবুই করুন। কাজ করতে পারি না। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি অন্য মেয়ে টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালায়। প্রতিবন্ধি ছেলের জন্য নিয়মিত ঔষধ লাগে । আমার দুচোখে অস্ত্রপাচার করতে হয়েছে, দুইবার স্ট্রোক করেছি। নিজের ঔষধ কেনার পয়সা নেই। চারতলায় উপরে টিনশেড দেওয়া দুটি ঘরে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কোনরকমে থাকি। অসহায় অবস্থায় পরেছি বলেই সরকারী সহায়তার জন্য কল করেছিলাম ঐ নাম্বারে। সহায়তা চেয়েও বিপদে পরেছি বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ১০০ জনকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার মতো সার্মথ আমার নেই। নিজের স্ত্রী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর গহনা বিক্রি ও ধার দেনা করে বিতরনের জন্য কিনেছেন। এমনি স্থানী ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীর কাছ থেকেও ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছেন।

(এস/এসপি/মে ২৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test