E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইয়াস পরবর্তী বেড়িবাঁধ ভাঙন অব্যাহত

সাতক্ষীরায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় জোয়ারের পানি ঢুকছে লোকালয়ে, জনজীবন বিপর্যস্ত

২০২১ মে ২৯ ১৩:৪৭:০০
সাতক্ষীরায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় জোয়ারের পানি ঢুকছে লোকালয়ে, জনজীবন বিপর্যস্ত

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার চারটি উপজেলার  ২৭টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন। এর মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ইয়াস পরবর্তী নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়াও ও ঝড়ো হাওয়ায় নতুন নতুন স্থানে বাঁধ ভেঙে ও জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ উপচে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হাসান খান জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের নয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এখানে আটটি পয়েন্ট ভাঙন দেখা দিলেও দু’টি স্থানের বাঁধ স্থানীয়রা বাঁধতে সক্ষম হয়েছে। অপর ছয়টি বাঁধ এই মুহুর্তে বাঁধ সম্ভব হচ্ছে না। ভাটার টানে নদীতে পানি না নামার আগেই জোয়ার শুরু হওয়ায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরের জোয়ারে প্রতাপনগর ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়েছে। ফলে দুই শতাধিক পরিবার বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এ ছাড়াও গত ২৭ ও ২৮ মে যথাক্রমে খাজরা ও নাংলায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙলেও তা বেঁধে ফেলা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের হাদদ্দহ দক্ষিণপাড়ায় রহিমের বাড়ির সামনে ২৭ মে ইছামতী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা ওই বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে ভাটা শেষ না হতেই জোয়ার শুরু হওয়ায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী এই প্রথম নদীভাঙনে মথুরেশপুরের সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজার গিফারী বলেন, ইয়াশের প্রভাবে এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। নয়টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ সংস্কার না করতে পারায় প্রতিদিন জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢোকা অব্যহত রয়েছে। এমনকি সুন্দরবনে ভাটার পানি না নামার আগেই জোয়ার শুরু হওয়ায় জীববৈচিত্র রয়েছে হুমকির মুখে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, জোয়ারের চাপ থাকা, ভাঙন কবলিত স্থানের পাশে মাটি না থাকা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বাঁধ সংস্কারের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, পানিবন্দি মানুষের খাবারা ও চিকিৎসার সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জোয়ারের তীব্রতা কমে গেলে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

(আরকে/এসপি/মে ২৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test