E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধামইরহাটে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৫:২০:০৫
ধামইরহাটে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনলেন ওই বিদ্যালয়ের ৫৫ জন অভিভাবক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতকারীদের শাস্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগি অভিভাবকগণ। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার ধামইরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে দাখিলকৃত ৫৫জন মহিলা অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালুপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২৫ আগষ্ট’২০১৪ তারিখে ৬২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২ কোয়ার্টারের উপবৃত্তি হিসেবে প্রত্যেককে ৬শ’ টাকা করে বিতরণ করার কথা থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আক্কাল আলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু রায়হান যোগসাজসের মাধ্যমে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা করে কেটে নেয়। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক মহিলা অভিভাবকগণ প্রতিবাদ জানালেও কেটে নেয়া টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। অভিযোগকারী মহিলা অভিভাবক কালুপাড়া গ্রামের শিউলি আরা, সুলতানা, প্রতিমা রাণী, ছোট শিবপুর গ্রামের শিরিনা খাতুন জানান,ওই বিদ্যালয়ে গত দুই দফায় বরাদ্দকৃত স্লিপ কমিটির টাকা ও বিদ্যালয় মাঠ সংস্কারের জন্য ১মে.টন চাউল বরাদ্দ করা হলেও কোন প্রকার কাজ না করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এছাড়া অধিকাংশ সময় শিক্ষকগণ সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসেন না এবং দুপুর ২টার মধ্যে বিদ্যালয় বন্ধ করে চলে যান। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আক্কাস আলী বলেন, বিদ্যালয়ে একজন প্যারা-শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। অভিভাবকদের কাছ থেকে ওই শিক্ষকের বেতন ভাতা বাবদ তাদের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় অনুদান নেয়া হয়েছে। উপবৃত্তির টাকা থেকে কোন টাকা কর্তনা করা হয়নি। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু রায়হান বলেন, তার বিরুদ্ধে এসব আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। উপবৃত্তির টাকা বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি।

উপজেলার চেয়াম্যান মো. মঈন উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাদিরউজ্জামান ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাদিরউজ্জামান বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতন কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অনিয়ম ও উপবৃত্তির টাকা

আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একটি সূত্র জানায়, সদ্য সরকারী করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অফিস চলাকালিন সময়ে উপজেলার হাট বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। সুধী মহলের প্রশ্ন, ওইসব প্রধান শিক্ষকগণ কি বিদ্যালয় ফাঁকি দিয়ে এসব কাজ করছেন?

(বিএম/এএস/সেপ্টম্বর ০৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test