E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরা মহিতোষ ওপর ডিবি পুলিশের নির্যাতন

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৯:৪৬:৪৪
সাতক্ষীরা মহিতোষ ওপর ডিবি পুলিশের নির্যাতন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ছয় বছর জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পাওয়া ছেলে মহিতোষ হাজরাকে আট দিন ডিবি পুলিশের হেফাজতে রেখে নির্র্যাতনের পর কাল্পনিক ডাকাতির চেষ্টার মামলায় জেলে পাঠানোর ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলেন বৃদ্ধা স্বর্ণলতা হাজরা।

সোমবার সকাল ১১টায় তিনি সদর থানায় এ সাক্ষাৎ করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম হোসেনের কাছে যেয়ে তিনি প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন। এরপরও সাবেক চেয়ারম্যান আজমাল হোসেনের সহযোগিতায় একের পর এক তার ছেলে মহিতোষ ও ছোট ছেলে পরিতোষের নামে মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষরা তাদের সাড়ে ছয় বিঘা জমি জবরদখল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত ২৬ আগষ্ট জেলগেট থেকে বের হওয়ার পর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যেয়ে ডিবি পুলিশের হেফাজতে অমানুষিক নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। এরপরও জীবন্ত অবস্থায় ছেলেকে ফিরে পাওয়ায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তবে মহিতোষকে সন্তানদের কাছে যেতে না দিয়ে পরিকল্পিত ডাকাতির চেষ্টার মামলায় চালান দেওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন স্বর্ণলতা।

সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় বুধবার সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনর লেখা মহিতোষ হাজরার খোঁজ মিলেছে, ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার সম্পর্কিত প্রতিবেদনে মহিতোষের বিরুদ্ধে ছয়ঘরিয়ায় পুলিশের উপর হামলা, বিজিবি’র কাছ থেকে মালামাল লুট ও চরমপন্থী দলের নেতা পরিচয় সম্পর্কিত পুলিশের উদ্ধৃতি নিয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান তিনি। জবাবে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান বলেন, এটা সদর থানার কোন পুলিশের বক্তব্য নয়, সাংবাদিকের নিজস্ব বক্তব্য। নইলে নিদ্দিষ্ট পুলিশের বরাত দিয়েই তিনি লিখতে পারতেন। সবশেষে তিনি বৃদ্ধা স্বর্ণলতাকে মহিতোষের বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন।

(আরকে/এটিআর/সেপ্টম্বর ০৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test