E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মালেশিয়ায় বন্দি যুবকের আত্মহত্যার হুমকি

বন্দিদের খবর নেয়নি বাংলাদেশী দূতাবাস

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৪ ১৭:২৫:০৭
বন্দিদের খবর নেয়নি বাংলাদেশী দূতাবাস

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও মালিকের খামখেয়ালীর জন্য সকল কাগজপত্র আটকিয়ে রাখায় অবৈধ হিসেবে মালেশিয়ার সিপাংগি সিলাংগোয়ার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ডিপো থানার ইমিগ্রেশন কেএলআইএ ক্যাম্পে গত দু’মাস ১৭দিন পর্যন্ত দুর্বিসহ বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশী যুবক মুকুল সরদারসহ আরও ৩০ জন যুবক।

জানা গেছে, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্ব-স্ব দেশের বন্দিদের ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেও এখনও মালেশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা বন্দিদের কোন খোঁজ খবর নেয়নি। ফলে অর্ধাহারে অনাহারে দুর্বিসহ জীবন যাপন করে নিজেকে আর সামাল দিতে না পেরে বন্দি বাংলাদেশের বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গেরাকুল গ্রামের যুবক মুকুল সরদার এ প্রতিনিধিকে ফোনে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। মুকুলের বন্দি কয়েদী নাম্বার (১৪২৯)। এদিকে ছেলেকে বন্দি জীবন থেকে ছাড়িয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে মুকুলের বৃদ্ধা মা খাদিজা বেগম বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী ও ব্র্যাকের নিরাপদ অভিবাসন সহয়তা প্রকল্পের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সূত্রমতে, গেরাকুল গ্রামের মৃত সোবাহান সরদারের ছেলে মুকুল সরদার অভাবী সংসারের দারিদ্রতা জয় করতে গত সাত বছর পূর্বে মালেশিয়া গমন করেন (পাসপোর্ট নং-এফ ০৯০০১৫৬)। সেখানে দীর্ঘদিন থেকে মুকুল মালেশিয়ার একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য দোকানের মালিকের কাছে তার চাহিদা অনুযায়ী নগদ টাকা ও সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন মুকুল। মালিক কাজগপত্র নিয়ে নানা তালবাহানা করে অবৈধ হিসেবে (গত দু’মাস ১৭দিন পূর্বে) কৌশলে পুলিশের কাছে মুকুলকে ধরিয়ে দেয়। সেই থেকে মুকুল মালেশিয়ার সিপাংগি সিলাংগোয়ার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ডিপো থানার ইমিগ্রেশন কেএলআইএ ক্যাম্পে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনে মুকুল কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিনিধিকে জানায়, তার সাথে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার আরো ৩০ যুবক রয়েছেন। এছাড়া তার সাথে গ্রেফতার হওয়া বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের ইতোমধ্যে স্ব-স্ব দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেও এখনও মালেশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের কোন খোঁজ খবর নেয়নি। অথচ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে তারা বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে পারেন। এ ব্যাপারে মুকুলসহ অন্যান্য বন্দিরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী ও ব্র্যাকের নিরাপদ অভিবাসন সহায়তা প্রকল্পের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

(টিবি/এএস/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test