E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরীর রমরমা জখমী সনদ বাণিজ্য!

২০২১ জুলাই ০২ ১৫:০৩:৫৬
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরীর রমরমা জখমী সনদ বাণিজ্য!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : অর্থের বিনিময়ে তথ্য দিয়ে ভূয়া জখমী সার্টিফিকেট বাণিজ্যের মূলহোতা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী (আরএমও সহকারী) শাজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ মোঃ হেলাল উদ্দিনের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।

জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রথমে অস্থায়ী ভাবে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকুরীতে যোগদান করেন শাজাহান। চাকুরী স্থায়ী হবারপরই পরে বাড়তি উপার্জনের আশায় আরএমও অফিসে শুরু করেন বাণিজ্য। কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা। শাজাহানকে টাকা না দিলে খুজেঁ পাওয়া যায় না জরুরী নথি। টাকা ছাড়া শুরু হয় নানা টালবাহানা, ‘আজ স্যার নেই, কাল আসেন। ‘এমসি লেখতে দিছি, কাল হয়ে যাবে’ ইত্যাদি। জরুরী মামলার তদন্তে অনেক পুলিশ কর্মকর্তাই জিম্মি হয়ে থাকেন তার কাছে।

এদিকে, প্রাইভেট ক্লিনিকের কোন জখমী সনদ গ্রহনযোগ্য নেই এমন সরকারী নির্দেশনা থাকলেও মনগড়া তৈরি রিপোর্ট দিয়ে চলছে এ বাণিজ্য।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতাল ও কিছু দালালদের সাথে গোপন আতাত আছে শাজাহানের। গুরুতর জখমীর সার্টফিকেট দিতে সরাসরি কন্টাক নেন তিনি নিজে। তার পছন্দমত ক্লিনিক থেকে অন্যের হাড়াভাঙ্গা রিপোর্টের নাম পরিবর্তন করে তথ্য উপস্থাপন করেন জখমী রিপোর্টে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জনৈক কর্মকর্তা জানান, মামলার তদন্ত কাজে জখমী রিপোর্ট বা ডাক্তারী পরিক্ষার সনদ খুবই গুরুত্বপূর্ন। জখমী রির্পোটের জন্য বার বার তাগিদ দিলেও টাকা ছাড়া কোন কথায় কর্ণপাত করেন না শাজাহান। টাকা দিলেই কাজ হয়ে যায়। আর টাকা না দিলে শুনতে হয় নানা অযুহাত। অনেক ঘটনার সত্য জিনিষও কোথা থেকে হাওয়া হয়ে যায়। এতে অনকে মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জনৈক কর্মচারী জানান, শাজাহান মূলত নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য আছেন আরএমও অফিসের সহকারী হিসেবে।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্তাবধাক ডাঃ মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, ঘটনাটি শুনেছি, তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোষী যে কেউ হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

(টিএইচ/এসপি/জুলাই ০২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test