E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈশ্বরদীর দুটি খাদ্যগুদামে চাল সংগ্রহ থমকে গেছে

২০২১ জুলাই ০৩ ১১:৫০:০২
ঈশ্বরদীর দুটি খাদ্যগুদামে চাল সংগ্রহ থমকে গেছে

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর দু’টি খাদ্যগুদামে সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযান থমকে গেছে। এরইমধ্যে সরকারের সংগ্রহ মূল্য অপেক্ষা বাজার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা রয়েছে। তবে গম ও ধান সরবারাহ ঈশ্বরদী খাদ্যগুদামে মোটামোটি সন্তোষজনক হলেও মুলাডলিতে স্লথ গতি বলে জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ঈশ্বরদীর এলএসডি ও মুলাডুলি সিএসডি গুদামে ১ মে থেকে ধান ও গম এবং ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। ঈশ্বরদী এলএসডি গুদামে ৮,৫৪০ মে:টন চাল, ১৯০ মে:টন ধান ও ২৬০ মে:টন গম এবং মুলাডুলি সিএসডিতে ৮,৫৪১ মে:টন চাল, ১৯১ মে:টন ধান ও ২৬১ মে:টন গম সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। এবারে কেজি প্রতি গম ২৮ টাকা, ধান ২৭ টাকা এবং চাল ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করলেও বর্তমানে ধান ও চালের বাজারমূল্য উপরে থাকায় মিলারদের চাল সরবরাহে লোকসান হচ্ছে।

ঈশ্বরদীতে অটো ও হাসকিং মিলিয়ে মোট রাইচ মিলের সংখ্যা ইতোপূর্বে ছয় শতাধিক তালিকাভূক্ত ছিলো। বাস্তবতা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তালিকাভূক্ত মিলের সংখ্যা এখন ৩৫৪ দাঁড়িযেছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এটিএম শহীদুল হক জানান, এবারে ৩৫৪ জন অটো ও হাসকিং মিলের মিলাররা দুটি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সরকারি সংগ্রহ মূল্য ভালো থাকায় প্রথমদিকে মিলাররা ও কৃষকরা আগ্রহ সহকারে গুদামে চাল ও ধান সরবরাহ করতে থাকে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন সংগ্রহ থমকে গেছে।

তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) পর্যন্ত ঈশ্বরদী এলএসডি গুদামে ৫,৪৩৯ মে:টন চাল, ১৭৭ মে:টন ধান ও ২৬০ মে:টন গম সংগ্রহ হয়েছে। মুলাডুলিতে ৪,৭৫৯ মে:টন চাল, ১৯২ মে:টন ধান ও ১০৪ মে:টন গম সরবরাহ করা হয়েছে। বরাদ্দ মোতাবেক চাউল ঈশ্বরদীতে ৬৪ ভাগ এবং মুলাডুলিতে ৫৫.৭ ভাগ সংগ্রহ হয়েছে। আগষ্টের ১৬ তারিখ পর্যন্ত সংগ্রহ অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি আশা পোষণ করে বলেন, মিল মালিকরা বাজারে ধানের দাম কমার আশায় অপেক্ষা করছেন। দাম কমলে সংগ্রহ সম্পূর্ণ সফল হতে পারে।

জয়নগরের মেসার্স সম্পদ ট্রেডার্সের হাসকিং মিলের মালিক মঞ্জুরুল আলম প্রথমেই তাঁর বরাদ্দকৃত সম্পূর্ণ চাল গুদামে সরবরাহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গুদামে সরবরাহকৃত হাইব্রিড হীরা ধানের প্রথমদিকে দাম ছিল মণপ্রতি ৭৫০-৮০০ টাকা। এই দামে ধান কিনে ভাঙ্গিয়ে প্রতি কেজি চালের দাম ৩০-৩৫ টাকা পড়তো। এছাড়া ধানের গুঁড়া ও খুদ বিক্রি করেও ভালো টাকা পাওয়া গেছে। মে মাসে যারা চাল সরবরাহ করেছে তারা ভালো লাভ করেছে। এরমধ্যে হাটে ধানের দাম বেড়ে ১,০৫০-১,১০০ টাকা মণ হয়েছে। এখন প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে ৪২-৪৫ টাকা। তদুপরি গুদামে চাল দিতে গেলে পরিবহণ ও লেবার খরচ রয়েছে। সরকারি দাম কেজিতে ৪০ টাকা। লোকসান হওয়ায় গুদামে চাল সরবরাহ থমকে গেছে। ধানের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি প্রসংগে তিনি আরো বলেন, বড় বড় অটো রাইচ মিলের মালিকরা ধান কিনে মজুদ গড়তে নেমে পড়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

(এসকেকে/এএস/জুলাই ০৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test