E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাবনা জেলায় সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে ঈশ্বরদী

২০২১ জুলাই ০৩ ১৫:২০:১৩
পাবনা জেলায় সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে ঈশ্বরদী

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : করোনা আক্রান্তে পাবনা জেলায় সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে ঈশ্বরদীর অবস্থান। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিগত পাঁচ দিনে ঈশ্বরদীতে ৬১৪  জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে। জেলায় মোট আক্রান্তের ৭০-৮০ ভাগই ঈশ্বরদীতে আক্রান্ত বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ শনিবার (৩ জুলাই) ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৩৭ জন। শুক্রবার ২ জুলাই ১৮৪ জন, ১ জুলাই ১৩৬ জন, ৩০ জুন ১১৪ জন এবং ২৯ জুন ৪৩ জন আক্রান্তের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসমা খান শনিবার জানান, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ৩টি কেবিনসহ মোট ১৬টি বেড নিয়ে করোনা ইউনিট রয়েছে। বর্তমানে ৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যান্যরা বেশীরভাগই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে। অক্সিজেন প্রসংগে তিনি বলেন, যে অক্সিজেন এখন আছে তাতে সমস্যা হচ্ছে না। রোগীর চাহিদা বাড়লে অক্সিজেন সংকট দেখা দিবে।

এদিকে ২০১১ সালে এই হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও জনবল এখনও অনুমোদন হয়নি। ডা: আসমা খান জানান, বর্তমানে ৮ জন ডাক্তার কর্মরত থাকলেও ১ জন চার মাস যাবত উপার্জিত ছুটি ভোগ করছেন। নার্স ও ওয়ার্ড বয়ের অনেকগুলো পদ শুণ্য। হাসপাতালের নাজুক পরিস্থিতির কারণে আক্রান্তরা বাড়িতেই চিকিৎসা গ্রহন করছে। তবে, আক্রান্তরা কে কোথায় কিভাবে চিকিৎসা গ্রহন করছেন এই তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জানা নেই।

ঈশ্বরদীতে অনেকেই জ্বর-গলা ও মাথা ব্যথা, সর্দি-কাশি নিয়ে ঘুরছেন। চিকিৎসকের ভাষ্য, নিশ্চিত করোনার উপসর্গ হলেও নমুনা পরীক্ষা করছেন না অনেকে। মনে করছেন এ তো ‘সিজন্যাল জ্বর’।

জ্বর, সর্দি-কাশি, গা ব্যথা ও ডায়রিয়া দেখা দিলেও বেশির ভাগ লোক ডাক্তার দেখাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তবে সচেতনদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে দিতে না পারায় এমন পরিস্থিতি উদ্ভব হয়েছে। উপসর্গ থাকলেও অধিকাংশ মানুষ করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে দিনকে দিন করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়েই চলছে।

এদিকে ঈশ্বরদী হাসপাতালে এ্যান্টিজেন টেষ্টের রিপোর্ট তাৎক্ষণিক পাওয়া গেলেও জেলায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় সিরাজগঞ্জ ঘুরে রিপোর্ট পেতে সপ্তাহ পার হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আক্রান্তদের দ্বারা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। রূপপুর পারমাণবিক এলাকায় কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।

(এসকেকে/এসপি/জুলাই ০৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test