কুড়িগ্রামে আবারো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে আবরো ধরলা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলসহ দ্বীপচরের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। মঙ্গলবার (৬জুলাই) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদনদীর পানি আবার বাড়ছে। তবে তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় ধরলা নদীর পানি ১২সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে কয়েকদিন যাবত তলিয়ে থাকা চর ও দ্বীপচরের শাকসবজি ও পাটখেতসহ বিভিন্ন ফসলগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ও উজানের ঢলে জেলার নদী তীরবর্তী প্রায় অর্ধশতাধিক চরে ও দ্বীপচরে পানি উঠে। অনেকের বাড়ির উঠানে পানি উঠায় তারা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন। ওইসব এলাকায় রাস্তা ঘাট ও গ্রামীণ সড়কগুলোর কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এদিকে, পানি কমা-বাড়ার কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে নদী ভাঙন চলছে। জেলার ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমোর নদের ভাঙ্গনের হুমকিতে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ টি হাইস্কুলসহ ৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও ধরলার উজানে সদরের সারডোব, তিস্তার রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা এলাকায়ও ভাঙছে নদী। রাজারহাটে তিস্তার ভাঙন চলছে ঘড়িয়ালডাঙায় চর খিতাব খাঁ ও গতিয়াসাম। এসব এলাকায় গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি চলে গেছে নদীগর্ভে। নিরুপায় হয়ে অনেকে উঁচু বাঁধ কিংবা খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার মানুষের জন্য জিআর চাল ৩৭৫ মে.টন ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে তা ইউএনওরা প্রদান করছেন।

(পিএমএস/এএস/জুলাই ০৬, ২০২১)