E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘ভাগ্যরাজে’ ভাগ্য ফেরাতে চান কালাম-নাসিমা দম্পতি

২০২১ জুলাই ০৯ ১৭:১৯:৪৭
‘ভাগ্যরাজে’ ভাগ্য ফেরাতে চান কালাম-নাসিমা দম্পতি

কাজী নজরুল ইসলাম, শরীয়তপুর : শরীয়তপুর জেলায় কোরবানীর জন্য প্রস্তুতকৃত এবছর সবচেয়ে বড় গরুটির নাম ভাগ্যরাজ। জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের পৈলান মোল্যার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম মাদবর ও স্ত্রী নাসিমা বেগম তাদের নিজ খামারে গরুটি পালন করেছেন। গরু বিক্রি করে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে শখ করে গরুটির নাম রেখেছেন ভাগ্যরাজ। আনুমানিক ৩০ মণ ওজনের এ গরুটি অষ্ট্রেলিয়ার ফিজিয়ান প্রজাতির।

আবুল কালাম মাদবর জানান, তিনি ১৬ বছর ভাগ্য ফেরাতে সৌদি আরবে প্রবাসী জীবন কাটিয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি। ২০১৪ সালে দেশে ফিরে কৃষি কাজের সাথে গরুর খামার শুরু করেন। গত বছর তার খামারে ১৬টি গরু ছিল। এবছর খামারে ৪টি গাভী ও ৪টি ষাড় রয়েছে। এদের মধ্যে বিশেষ যত্নের সাথে গড়ে তুলেছেন ভাগ্যরাজকে। সাড়ে তিন বছর যাবৎ তিনি ভাগ্যরাজকে লালন-পালন করছেন। সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বেশী তিনি খরচ করেছেন ভাগ্যরাজের পেছনে। বর্তমানে পশুটির উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট ও দৈর্ঘ্য ১০ ফুট। এবারের কুরবানীতে ভাগ্যরাজকে ঢাকা গাবতলী পশুহাটে বিক্রি করতে নেয়ার কথাও জানান খামার মালিক কালাম মাদবর।

কালাম মাদবরের স্ত্রী নাসিমা বেগম বললে, ভাগ্যরাজ তাদের অত্যন্ত শখের একটি পশু। নিজের সন্তানের মত লারন পালন করেছেন ভাগ্যরাজকে। গত বছর কোরবানীর আগে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাম বলেছিল ক্রেতারা। কিন্তু বিক্রি করেননি। নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তণ করতে পালন করেছেন আরও এক বছর। এবছর ১৮ লক্ষ টাকা দাম চাইছেন। ন্যায্য মূল্য পেলে বিক্রি করে দিবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা শত কষ্টের মাঝেও গরুটির প্রতি কোন অবহেলা করিনি। সম্পুর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে এই গরুটিকে লালন পালন করেছি। জাজিরা প্রানী সম্পদ বিভাগের চিকিৎসক আতিকুর রহমান নিয়মিত ভাগ্যরাজকে দেখাশুনা করেছেন।

(কেএন/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test