E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

নীলফামারীর পশুর হাটে দেশি গরুর জমজমাট বেচাকেনা

২০২১ জুলাই ১৫ ১৪:৫৯:৩৭
নীলফামারীর পশুর হাটে দেশি গরুর জমজমাট বেচাকেনা

ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : ভোর থেকেই নীলফামারীর গবাদী পশুর খামারী ও মৌসুমী ব্যবসায়ী ও কোরবানির পশু কিনতে আসা মানুষদের গন্তব্য কোরবানীর হাট গুলোতে । এবার কোরবানীর হাট গুলোতে দেশী গরুর প্রবেশ ঘটেছে অন্যান্য যেকোন বারের চেয়ে অনেক বেশি । তবে, এবার গরুর দাম অন্যান্য যেকোন বারের চেয়ে অনেক বেশি । 

কোরবানির গরুর হাটের সাথে সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দিনের শুরুতে গবাদী পশুর দাম ব্যবসায়ীরা বেশি হাঁকলেও দিন শেষে সেই দাম কমে যেতে পারে । নীলফামারীর কালিতলা কোরবানীর হাটের ইজারাদার মাহাবুবুল আলম বলেন, ঈদের আগে এই জেলায় বিভিন্ন হাটে আরও কয়েকদিন ধরে গবাদী পশুর কেনাবেচা হবে, ঈদের শেষ মুহূর্তে গবাদী পশুর দাম কমে যেতে পারে ।

বেলা বাড়ে তার সাথে কোরবানীর হাট গুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে গবাদী পশু কেনাবেচা করতে আসা মানুষদের সংখ্যা ।

একেকটা বড় আকৃতির গরুর দাম (চার মণ থেকে সাড়ে চার মণ) দেড় লাখ থেকে দুই লাখের মধ্যে । একেকটা মাঝারী আকৃতির গরুর দাম ( আড়াই থেকে তিন মণ ওজনের) ৫৫ হাজার টাকা থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে । এবার ৫০ হাজার টাকাতে কোরবানীর গরু কিনতে অনেক দরদাম করতে হচ্ছে ক্রেতাদের, কিন্তু এই দামে গরু পাওয়া যাচ্ছে খুব কম । গরু কিনতে হলে সর্বনিন্ম ৫৫ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে । গরুর দামের এমন আকাশ ছোঁয়া দাম এর আগে নীলফামারীতে ছিল না, এবারই প্রথম এমন চড়া দামে গবাদী পশু বেচাকেনা হচ্ছে ।

নীলফামারীতে মূলত সাপ্তাহিক হাট গুলোতেই কোরবানীর পশুর হাট বসে । শুক্রবার, সোমবার, রবিবার, বুধবার এই জেলার বিভিন্ন হাটে কোরবানীর হাট বসে । ভিন্ন প্রেক্ষাপট বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যে এবার দ্বিতীয় বারের মতো কোরবানীর ঈদ এসেছে । সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না প্রায় সব গুলো হাটে । ক্রেতা বিক্রেতাদের অনেকর মুখেই নেই মাস্ক ।

এ বিষয়ে মীরগঞ্জ হাটের ইজারাদার মনসুর আলী বলেন,“হাট বসানোর জন্য ডিসি অফিস থেকে আমরা কাগজ পেয়েছি। হাট বসানোর ক্ষেত্রে সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো পালন করে হাট বসিয়েছি।”

খামারি আব্দুল খালেক জানান, এবার লকডাউনে মানুষ আর্থিক সংকটে আছে। তাই শুরুতে গরুর বাজার একটু মন্দা গেছে। গত সপ্তাহে সদরের সংগলশী ইউনিয়নের ঢেলাপীরের হাটে আমার দুইটি ষাঁড়ের দাম উঠে ৯৪ হাজার টাকা। আজ রামগঞ্জ হাটে বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত বছর ষাঁড় দুইটি কিনেছিলাম ৬৪ হাজার টাকায়। লাভ হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা।

(কে/এসপি/জুলাই ১৫, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test