E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আশাশুনিতে ঘের দখল চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা

২০২১ জুলাই ১৯ ১৬:৪২:০১
আশাশুনিতে ঘের দখল চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পারশেমারি ও খালিয়া গ্রামে চিংড়ি ঘের জবরদখলের অভিযোগ এনে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

চেউটিয়া গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে নুরুল্লাহ সরদার জানান, তিনি পারশেমারি মৌজার দু’ একর সাত শতক জমি পারশেমারি গ্রামের বুধ বাছাড়ের কাছ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে তিন বছর মেয়াদী লীজ নিয়ে মাছ চাল করে আসছেন। ওই জমি পারশেমারী গ্রামের কার্তিক রায়ের নামে রেকর্ড হয়েছে এমন দাবি করে তাকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে শেখর রায় ও স্বপন রায়।

এ জন্য শেখর রায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে মীর্জাপুরের কচিমউদ্দিনের ছেলে জামাল, কাপষণ্ডা গ্রামের সুরমানের ছেলে সামছুর রহমান খোকা ওরফে বোমারু খোকা ও তার ঘর জামাই মনিপুরে রফিকুল হত্যা মামলার সহ কমপক্ষে ৬টি মামলার আসামী জাহিদুলকে ব্যবহার করছেন। মীর্জাপুরের কার্তিক রায় যে জমি রেকর্ড পেয়েছেন ওই জমি তিনি বুধ বাছাড়ের কাছ থেকে লীজ নেননি তিনি (নুরুল্লাহ)। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় শেখর রায় পুলিশ দিয়ে তাকে হয়রানি করে চলেছেন।

একইভাবে কাপষণ্ডা গ্রামের মইজদ্দিন ও রায়হান জানান, এক সময় তারা খালিয়া মৌজার ১৫ বিঘা জমি ডিএস রেকডীয় মালিক সঞ্জয় দাস এর কাছ থেকে লিখে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। বর্তমান মাঠ পড়চায় ওই জমি পারশেমারির কার্তিক রায় এর নামে হয়েছে দাবি করে তারা ওই জমি ফিরে পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ করে। বর্তমান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে তারা ওই জমি কার্তিক রায় এর অনুকলে ছেড়ে দেন। অথচ শুক্ররার রাতে কার্তিক রায় এর ঘের কর্মচারি হিসেবে সন্ত্রাসী জামাল, সামছুর রহমান খোকন ও জাহিদুলকে মারপিট করে ঘের থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ও মাছ ধরার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেছেন স্বপন রায়। তাদেরকে অহেতুক পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগের নিন্দা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে শেখর রায় জানান, পারশেমারি মৌজায় বর্তমান রেকর্ড অনুযায়ি ৬৬ শতকের মধ্যে ৬০ শতক জমি কিছু অংশ নিজের ও বাকী অংশ পূর্ণ চন্দ্র বিশ্বাস ও সুকুমার মণ্ডলের কাছ থেকে আপোষ সূত্রে বিনিময় করে ঘের করছেন তিনি। ওই জমি জোর করে জবরদখলে রাখতে মরিয়া মইজদ্দি, রায়হান, চঞ্চল ও রমজান। রমজানের বাহিনীর সদস্যরা তার ঘের কর্মচারিদের ঘেরে না যাওয়ার জন্য চাঁদা দাবিসহ জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে খাজরার সঞ্জয় দাসের কাছ থেকে কিনেছে দাবি করে কোন কাগজপত্র ছাড়াই খালিয়ার ১৫ বিঘা জমি দখল করতে যায়। শুক্রবার রাতে রমজান বাহিনীর লোকজন তার তিন ঘের কর্মচারিকে মারপিট করেছে। চাঁদা দাবি করে কেড়ে নিয়েছে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা। এ ঘটনায় তিনি সাতজনের নামে এজাহার দাািখল করেছেন।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীর জানান, কার্তিক রায় এর মাছের ঘের জবরদখলের চেষ্টাকালে তিন ঘেরকর্মচারিকে মারপিটের অভিযোগ স্বপন রায় থানায় একটি অভিাযোগ দায়ের করেন। সরেজমিনে নিজে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রমজান ও তার পক্ষের লোকজনকে সোমাবার সকাল ১০টায় থানায় ডাকা হয়। স্বপন রায় ও তার লোকজন এলে ও আসেননি রমজান ও তার লোকজন। সেক্ষেত্রে মামলা রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/জুলাই ১৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test