E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভৈরবে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

২০২১ জুলাই ২৮ ১৭:১৯:২৩
ভৈরবে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : ভৈরবে স্বপন মিয়া (৪০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ।

আজ ২৮ জুলাই বুধবার সকালে ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর ও বাঘাইকান্দি এলাকার মধ্যস্থলের বিলে কালভার্টের নীচ থেকে স্বপন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সে চাঁনপুর এলাকার মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে। মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই সোমবার রাত ১১টায় মোবাইলে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় স্বপন মিয়া। পরে রাতে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে ভৈরব থানায় তার পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরী করে। আজ বুধবার এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বিলে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে সনাক্ত করে তার পরিবার এবং পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত স্বপন মিয়ার চানপুর বাজারে চায়ের দোকান ছিল। তার পরিবারে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সন্দেহ জনক রশিদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও নবী হোসেন নামে ৩ জনকে আটক করে ভৈরব থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

এলাকাবাসীর দাবী জুয়া খেলার দ্বন্দ্ব নিয়ে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে। নিহত স্বপনের স্ত্রী পুতুল ও ভাই রিপন মিয়া জানান, গত সোমবার রাত ১১টায় রশিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি একাধিক ফোন করে বাড়ি থেকে তাকে বের করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাতে আর বাড়ি ফিরেনি এবং তার কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। পরিবার আরো জানায়, নবী হোসেন নামে এক ব্যক্তির সাথে মোবাইল নিয়ে স্বপন মিয়ার দ্বন্দ্ব ছিল। এই দ্বন্দ্বের কারণে রশিদ মিয়া, নবী হোসেন ও রুবেলসহ তার সঙ্গীরা হত্যাকা- ঘটাতে পারে বলে দাবী করেন নিহত স্বপনের স্ত্রী ও ভাই।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গত ২ দিন পানিতে মরদেহ পড়ে থেকে শরীর ফুলে গেছে। তাই কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী রশিদ মিয়া ও রুবেল মিয়াকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। তবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাদতন্তের পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এম/এসপি/জুলাই ২৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test