E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পুলিশী হয়রানির অভিযোগে নালিতাবাড়ীতে লাঠি মিছিল

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৬:৫৭:৪৮
পুলিশী হয়রানির অভিযোগে নালিতাবাড়ীতে লাঠি মিছিল

শেরপুর প্রতিনিধি : মিথ্যা মামলায় নিরীহ মানুষের উপর পুলিশী হয়রানী ও গ্রেপ্তার বন্ধে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ এবং লাঠি মিছিল করেছে স্থানীয় জনতা। মধুটিলা ইকোপার্কের ভেতর এক নব দম্পতির শ্লীলতাহানি ও মোবাইলে নগ্ন দৃশ্য ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের জের ধরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও লাঠি মিছিল করা হয়। ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে এ প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

নন্নী ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সংগ্রামী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ওই প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মেম্বার। বক্তব্য রাখেন-ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ আলম, যুবলীগ নেতা সুলতান আহমেদ, আ.লীগ নেতা হযরত আলী, উমর আলী, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ জুলাই মধুটিলা ইকোপার্কে বেড়াতে এসে জনৈক নব দম্পতি স্থানীয় বখাটেদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন ও তাদের মোবাইল ফোনে বখাটেরা নগ্নদৃশ্য ধারন করে। পরে এই নগ্ন ভিডিও ক্লিপগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট ভিকটিম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে নারী-শিশু নির্যতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দয়ের করেন। পুলিশ ওই মামলার প্রধান আসামী শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ২ দিনের রিমান্ডে আনে। কিন্তু মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও সমেশ্চুড়া গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে ইকোপার্কের প্রধান ফটকের ইজারাদার পক্ষের লোক ও স্থানীয় ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা মোস্তফা মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে অমানবিক নির্যাতনের পর জেল হাজতে প্রেরণ করে। এতে ফুসে উঠেছে দুই ইউনিয়নের জনগন। তারা অবিলম্বে প্রকৃত দোষিদের শাস্তি ও মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং পুলিশী হয়রানী বন্ধের দাবি জানান। সমাবেশ শেষে উপস্থিত সকলের অংশগ্রহনে একটি লাঠি মিছিল ইকোপার্কের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এ ব্যপারে প্রতিবাদ সভার সভাপতি ও পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মেম্বার বলেন, আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। কিন্তু পুলিশ এ ঘটনাকে পূঁজি করে কাউকে হয়রানি-নির্যাতন করুক এটাও আমরা চাইনা। বাদী তার এজাহারে মোস্তফার নাম উল্লেখই করেনি। অর্থচ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন বলেন, মোস্তফা মিয়াকে শারীরিকভাবে কোনপ্রকার নির্যাতন করা হয়নি। মামলার প্রধান আসামী শফিকুলের জবানবন্দীতে মোস্তফার সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোস্তফা নিজেও ব্লু-ট্রুথের মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও অন্যত্র ছড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, এই মামলার পুরো বিষয়টি আমার সিনিয়র অফিসাররা তদারকি করছেন।

(এইচবি/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৪)


পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test