E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৩ বছর আগে ‘মৃত’ আনোয়ার বাঁচার জন্য টিকার নিবন্ধন করতে চান!

২০২১ জুলাই ২৯ ১৭:১৫:৩১
৩ বছর আগে ‘মৃত’ আনোয়ার বাঁচার জন্য টিকার নিবন্ধন করতে চান!

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ভোটার তালিকায় তিন বছর আগেই ‘মৃত’ তিনি। এখন বাঁচার জন্য টিকা দরকার। কিন্তু ভোটার তালিকায় তার নাম মৃত তালিকায় থাকায় টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারছেন না। ঝিনাইদহ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাঞ্চন নগর গ্রামের মৃত শেখ মোহাম্মদ আলী ছেলে এসএম আনোয়ার হোসেন দিব্যি জীবিত থাকলেও তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। তার এনআইডি নং ৮২৪৪৯৬১২৮৩। ফলে জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় কোন কাজই তিনি করতে পারছেন না। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকালে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে জানান, নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেইজে তিনি মৃত। কিন্তু বাঁচার জন্য এখন তার দরকার টিকার রেজিষ্ট্রেশন। এসএম আনোয়ার ছোট-খাটো ঠিকাদারি কাজ করেন। করোনার ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি ‘মৃত’।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এসএম আনোয়ার নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেইজে ২০১৮ সালের আগ থেকেই ‘মৃত’। ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে পৌরসভা থেকে স্মার্টকার্ড গ্রহণ করেন আনোয়ার। তিনি অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম তার এলাকার ডাটাবেইজ তৈরী করেন। তিনিই তাকে ‘মৃত’ দেখিয়েছেন।

তবে শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাড়ির লোকজনের দেওয়া তথ্য নিয়ে তিনি ফর্ম পূরণ করেছেন। ইচ্ছাকৃত বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এরকম করা হয়নি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মশিউর রহমান জানান, কোন কোন ক্ষেত্রে তথ্যগত ভুল হতেই পারে। তবে আবেদন করে সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। এসএম আনোয়ার জানান, তার পরিচয় পত্রে এতোবড় ভুল থাকার কারণে শতবার চেষ্টা করেও টিকা নিবন্ধন করা যায়নি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শামীম কবির জানান, সরকার ৮০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় আনার চিন্তা করেছে। সে লক্ষ্যে নিবন্ধন না করে শুধু মাত্র জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার লিখে রেখে টিকা দেওয়া ব্যবস্থা করছে।

এদিকে নির্বাচন অফিসের দৃষ্টিতে এটা খুব ছোট সমস্যা হলেও এমন সমস্যা নিয়ে অনেক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। কারও বাপের থেকে ছেলে দুই বছরের বড়। কারো নামের বানান ভুল, সার্টিফিকেটে এক নাম জাতীয় পরিচয় পত্রে আরেক নাম, প্রকৃত বয়সের চেয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়স ১৫/২০ বছর কম এমন সমস্যা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন ঝিনাইদহ নির্বাচন অফিসে ভীড় করছে মানুষ। ভুক্তভোগীদের দাবি সরজমিনে না গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করায় এমন বড় দাগের ভুলের মাশুল দিচ্ছে গ্রামের সাধরণ মানুষ।

(একে/এসপি/জুলাই ২৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test