E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মুক্তিযোদ্ধাকে মারাত্মকভাবে আহত করলো চেয়ারম্যান বাহারের ক্যাডার

২০২১ জুলাই ৩১ ১৮:৪১:৩৪
মুক্তিযোদ্ধাকে মারাত্মকভাবে আহত করলো চেয়ারম্যান বাহারের ক্যাডার

আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়ননের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (৬৫) কে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বেড় হলে চেয়ারম্যান বাহার এর অস্ত্রধারি ক্যাডার বাহিনী প্রথমে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে তাকে মারাত্মক ভাবে আহত করে৷ এসময় তার আহাজারিতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরকে ও মারাত্মক ভাবে আহত করে। 

গত (২৮ জুলাই) সন্ধ্যার আগে বহলাডাঙ্গা স্কুল মসজিদের সামনে উক্ত ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসী এক হয়ে তাদের কে ধাওয়া করলে সন্ধ্যার পরে অগ্নি অস্ত্র নিয়ে আবার হামলা করে চেয়ারম্যান বাহারের ক্যাডার বাহিনী। এ সময় তারা বিভিন্ন দোকান ঘরে হামলা সহ ফাঁকা গুলি করে বলে যানা যায়। তবে পাংশা মডেল থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

এই ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ভাগ্নে রাইভী আহমেদ সুজন (২৬) বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় মামলা করে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায়, সরিষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহারের অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী বাহিনী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। কয়েক জনের সাথে কথা বলে বুঝাগেলো যতই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এগিয়ে আসছে আর এই ইউনিয়নের পরিবেশ অশান্ত হয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সাবেক চেয়ারম্যান সুবানের লোক হওয়ায় বাহার চেয়ারম্যান তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার বিষয়ে বলেন, সিরাজুল ইসলাম নামাজ পড়ে বাইরে আসলে বহলাডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন ও খামারডাঙ্গি গ্রামের শাহিন মন্ডল, সালমান শাহ্, সাচ্ছু মন্ডল, মদা দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি, রামদা লোহার রড সহ বৃদ্ধ কে মারতে শুরু করলে স্থানীয় রনি,কিনু, রহমত ও তার ভাগ্নে সুজন এগিয়ে এলে তাদেরকে ও মারধর শুরু করে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের মাথায় রামদা এর উল্টো পাশ দিয়ে আঘাত করলে সে তার বাম হাত দিয়ে ঠেকালে তার হাতের কয়েক জাইগা ভেঙে যায়। পরে তার পিঠে ও রড, হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয় এমনকি তার আহাজারিতে এগিয়ে আশাদের কে ও মারধর করে তারা।

এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা বাহার চেয়ারম্যানের ওই বাহিনীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আবার চেয়ারম্যানের সহযোগিতা রাতে আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।

এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পয়ে ওই এলাকায় গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ভাগ্নে বাদী হয়ে মামলা করেছে। পরে অপর পক্ষের হেলাল উদ্দিন ও বাদি হয়ে আর একটা মামলা দায়েরকরেছে।

(একে/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test