E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 

আশাশুনিতে চলছে জমজমাট জুয়া

২০২১ জুলাই ৩১ ১৮:৫৮:৩৬
আশাশুনিতে চলছে জমজমাট জুয়া

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের বামনডাঙা থেকে তুয়ারডাঙা আসার পথে ভুট্টোর বাড়ির পাশে বুড়িরভিটায় এক মাস ধরে চরছে রমরমা জুয়া। অভিযোগ রয়েছে প্রশানসকে ম্যানেজ করেই চলছে এ জুয়া। ফলে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।

বামনডাঙা গ্রামের আজিজুল ইসলাম ও সোহারাব হোসেন জানান, করোনাকালিন কঠোর লকডাউনে জনজীবন বিপর্যস্ত প্রায়। গ্রামের মানুষের একবেলা হাঁড়ি জ্বলছে তো অন্য বেলায় জ্বলছে না। অনেকে পয়সার অভাবে চিকিৎসা দিতে পারছে না। তাতে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে এলাকার অনেক বিলের মাছের ঘের ভেসে গেছে। গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়িও পড়তে শুরু করেছে। এ সবের মধ্যে ভুট্টোর বাড়ির পাশে বুড়ির ভিটেতে রীতিমত তাঁবু টানিয়ে তিন কার্ড নামে জুয়া খেলা হচ্ছে।বামনডাঙার রবিউল ও কমপক্ষে ছয়টি মামলার আসামী আনার, গোয়ালডাঙার ডালিম ও টিক্কা এ তিন কার্ডের নামে এ জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করে আসছেন। সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাবু টানিয়ে এ জুয়ার আসর চালানো হয়।

স্থানীয় প্রশাসন ও ক্ষতাসীন দলের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকে প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা দিতে হয় বলে প্রচার রয়েছে। যারা জুয়া খেলায় অংশ নেন তাদের মোটর সাইকেল পাহারা দিতে নেওয়া হয় ২০০ টাকা। কোন সাংবাদিক বা অচেনা কোন লোক যাতে সেখানে যেয়ে ছবি তুলতে না পারে সেজন্য বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জুয়াড়ীদের দলে মিশে খেলতে যেয়ে অনেকেই তাদের সাইকেল, মোটর সাইকেল,স্ত্রীর সোনার গহনা বিক্রি করছেন। ফলে এলাকায় বাড়িতে ও চিংড়ি ঘেরে বেড়েছে চুরি ও ছিনতাই।

তারা আরো জানান, রমরমা এ জুয়া বন্ধ করার জন্য সাতক্ষীরা গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা ও আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেও কোন লাভ হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গত ২৭ জুলাই আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবীর বলেন, জুয়া সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়েছে স্থানীয়ভাবে। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে তিনি বাড়িতে এসেছেন। পরদিন অফিসে যেয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন।

(আরকে/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test