E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

একমাসে তিস্তায় বিলীন একটি গ্রামের ২৬০ বসতবাড়ি! 

২০২১ জুলাই ৩১ ১৯:১৫:২৫
একমাসে তিস্তায় বিলীন একটি গ্রামের ২৬০ বসতবাড়ি! 

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম বগুড়া পাড়ায় গত এক মাসে ২৬০টি বসতবাড়ি তিস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একই সময়ে প্রায় ৫০০ হেক্টর একর আবাদি জমি ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। মাত্র ১মাসের ব্যবধানে তিস্তার বিনাসী খেলায় পুরো একটা গ্রাম জনবসতির মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে।  বাস্তুভিটে হারা পরিবারগুলো পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছে অন্যের জায়গায় আবার কেউ ঠাঁই করে নিয়েছেন রাস্তার ধারে। তাদের এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসেননি কেউ। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করেই কাটছে তাদের দিনকাল। ভূক্তভোগীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) উদাসীনতা কেই দায়ী করছেন। 

শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বগুড়া পাড়া গ্রামের দুলাল মিয়াসহ কয়েকজন আক্ষেপ করে বলেন, এক মাসেরও কম সময়ে লালমনিরহাট জেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বগুড়া পাড়া পর্যন্ত ২৬০টি বসতবাড়ি নিমিষেই তিস্তানদীর গর্ভে চলে গেলেও কুড়িগ্রাম জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অথচ লালমনিরহাট জেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনরোধে কাজ করছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিরাজ উদ্দিন বলেন তিস্তা আমাদের সব কিছু কেড়ে নিলো। এখন বউ বাচ্ছা নিয়ে খুব কষ্টে আছি কোন রকমে অন্যের জায়গায় ছাপরা তুলে রাত কাটাচ্ছি। বাড়িভিটা হারানো নুরনবী, আঃ রফিক, এরাজউদ্দিন, সাফর আলী ও বিরাজ উদ্দিনসহ অনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আজ আমরা নিঃস্ব, সব কিছু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আপনি আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিন।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে পাউবোর এসডি মাহমুদ হাসান বলেন, বগুড়া পাড়ায় যেভাবে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তাতে এই অবস্থায় জিও ব্যাগ বা জিও টিউব বস্তা ফেলে ভাঙ্গনরোধ করা সম্ভব নয়। শুকনো মৌসুমে নদীরতীর সংরক্ষণ করে নদী শাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিম বলেন, বসতভিটে হারিয়ে যাদের মাথা গুজার ঠাঁই নাই এমন পরিবার যদি অন্য কোন ইউনিয়নে যেতে চায় তাহলে তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে দিবো। এব্যাপারে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছি।

(পিএস/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test