E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে বাধা নেই

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৬:১৪:৫৪
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে বাধা নেই

শেরপুর প্রতিনিধি : সীমানা জটিলতা ও হালনাগাদ ভোটারদের অন্তর্ভূক্তকরণ সাপেক্ষে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দাবিতে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট অবশেষে খারিজ হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির হাইকোর্টের আপিলেট ডিভিশনের ফুলবেঞ্চ ওই রিট খারিজ করে দেন। এর ফলে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না। নির্বাচন কমিশন উচ্চ আদালতের ওই আদেশ পেলে যেকোন মুহূর্তে ভোট গ্রহনের পুন:তফসিল ঘোষণা করতে পারবেন।

রিট শুনানীতে নির্বাচন কমিশন ও রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এটিএম জহিরুল হক, প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানুর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এবং রিটকারীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার ও সাইদ আহমেদ রাজা অংশ নেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনের ৪র্থ দফায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩ মার্চ শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোটর তালিকা হালনাগাদের অভিযোগ তুলে চরপক্ষমারী ইউনিয়নের ৪ ব্যক্তি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করলে স্থগিত হয়ে যায় ওই নির্বাচন।

আইনী লড়াই শেষে পুন:তফসিল মোতাবেক ৩১ আগষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি নেয় রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে স্থানীয় নির্বাচন অফিস। পুণ:তফসিল অনুসারে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী অংশ নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছিলেন। জমে উঠছিল প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। কিন্তু সদ্য হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বি জাপা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইলিয়াস উদ্দিনের তরফ থেকে আপিল দায়ের হলে গত ১১ সেপ্টেম্বর তা শুনানীর তারিখ ধার্য্য হয়।

এরপর ১৯ আগষ্ট আপিলেট ডিভিশনের অবকাশকালীন চেম্বার জজ বিচারপতি মো. ইমান আলী রিটকারী পক্ষের আবেদনে নির্বাচনের মাত্র ১১ দিন বাকি থাকতে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ফের স্থগিতের আদেশ দেন। এনিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানু’র তরফ থেকে আগাম শুনানীসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ২ সেপ্টেম্বর আপিলেট ডিভিশনে একটি আবেদন দায়ের করা হয়। সেই আবেদনের বিষয়ে ৪ সেপ্টেম্বর ও ৭ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আপিলেট ডিভিশনের ফুলবেঞ্চে দীর্ঘ শুনানী শেষে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারসহ মূল রিটটি খারিজের আদেশ হয়।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এটিএম জহিরুল হক সোমবার দুপুরে আপিল খারিজের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে ভোটার তালিকা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই ভোটার তালিকা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য হালনাগাদ ভোটারদের অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ নেই। সেজন্যই আপিলটি খারিজ হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়া পূর্ববর্তী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর নির্বাচন স্থগিত হয়েছে, সেহেতু এখন কেবল নির্বাচনের তারিখ জানিয়েই পুনঃতফসিল হতে পারে।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হায়দর আলী জানান, উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট খারিজের বিষয়টি শুনেছি। নির্বাচন কমিশন অফিসিয়ালি ওই আদেশ পাবার পর পুনঃনির্দেশনা দিলেই আমরা ফের কার্যক্রম শুরু করতে পারব।

(এইচবি/এএস/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test