E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘর পাওয়ার আকুতি সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য রাসিদা বেগমের

২০২১ আগস্ট ০৭ ২০:১৮:৩৬
ঘর পাওয়ার আকুতি সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য রাসিদা বেগমের



গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর গলাচিপায় বেঁচে থাকার মতো ঘর পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য রাসিদা বেগম (৫০)। রাসেদা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমি সংরক্ষিত মহিলা আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার স্বামী আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী এবং স্থানীয় জনসাধারণের কাছেও ছিলেন যথেষ্ট সুপরিচিত। বর্তমানে আমি খুব অসুবিধার মধ্যেই আছি। আমার মাথা গোঁজার ঠাইও নাই। মুদির হাট বাজারে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে স্বামী সন্তান নিয়ে আশ্রিত ছিলাম। আমার স্বামীর মৃত্যুর পরে আমি অসহায় দিনযাপন করছি। যে বাড়িতে আশ্রিত ছিলাম তারাও এখন আমাকে চলে যেতে বলেছেন। এখন আমি সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব বুঝতে পারছি না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি ঘর পেলে সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার মতো একটি আশ্রয় হতো।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, তার স্বামী সুলতান হাওলাদারের শরীরে ধরা পরে কঠিন মরণব্যাধি রোগ ফুসফুসের ক্যান্সার। ধার দেনা আর জনগনের সাহায্য দানে এক মাত্র অবলম্বন স্বামীকে বাচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও তাকে আর বাচাঁনো যায় নি। নিজের জায়গা জমি বলতে মাত্র তিন শতক জমি। যা এখনো শূন্য ভিটা পরে আছে। তিনি আরো বলেন, কোন কোন সময়ে না খেয়েও দিন পার করতে হয়, লোকলজ্জায় বলতেও পারি না আবার কারো কাছে চাইতেও পারি না।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. বাদল মিয়া বলেন, আসলেই রাসিদা বেগম স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েগেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে সে এখন অসহায় দিন কাটাচ্ছেন। সরকারিভাবে তার জন্য একটি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হলে সে সন্তানদের নিয়ে বাকি জীবনটা পার করতে পারতেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মনির বলেন, আসলেই সংরক্ষিত আসনের সাবেক ইউপি সদস্য রাসিদা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পরে অসহায় হয়ে পড়েছে। তার জমি আছে কিন্তু ঘর নেই।

(এসডি/এএস/আগস্ট ০৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test