E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি 

কুড়িগ্রামের দেড়শতাধিক চর-দ্বীপচরের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

২০২১ আগস্ট ২৮ ১৫:০৬:০০
কুড়িগ্রামের দেড়শতাধিক চর-দ্বীপচরের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) ধরলার পানি বিপদ সীমার ৩১ সে.মি ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ১৮ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা, দুধকুমোর ও নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার সমান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরে প্রায় ৫০হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

সদর উপজেলার হলোখানা, যাত্রাপুর, পাঁচগাছি, ভোগডাঙা ও ঘোগাদহ ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। এসবএলাকার ৮০ ভাগ আমন ক্ষেত এখন পানির নিচে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক। সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের রাঙামাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে রাঙামাটি, কাগজীপাড়া, হলোখানা, বড়লই, সারডোবসহ ১০টি গ্রামের কয়েকশ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন চর ও দ্বীপচর গুলোর গ্রামীন সড়ক পানির নীচে তলিয়ে গেছে। মানুষজন নৌকা ও ভেলায় যাতায়াত করছে। এ সব এলাকার প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে আছে। এতে ধান ক্ষেত গুলি নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার শ্রম জীবি মানুষরা কাজে যেতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ২৬.৮১ সে.মি, ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৩.৮৮ সে.মি, তিস্তা নদীর পানি ২৯.১০ সেন্টিমিটার, আর ব্রক্ষপুত্র নুুনখাওয়া পয়েন্টে ২৬.১০ সে.মি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

(পিএস/এসপি/আগস্ট ২৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test