E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

চরাঞ্চলের নদীতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে নৌযান      

২০২১ সেপ্টেম্বর ০১ ২১:৪১:০২
চরাঞ্চলের নদীতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে নৌযান      

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরাঞ্চল গুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট ছোট নৌযান। অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক ইঞ্জিল চালিত ছোট ছোট ট্রলার নদী পথে ব্যবহার করে আসছে। নেই বিকল্প কোন ব্যবস্থা, তাই রাঙ্গাবালিসহ বিচ্ছিন্ন চরঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানের উপর নির্ভর করে চলাচল করতে হয়। ঝুঁকি থাকা সত্যেও বাধ্য হয়েই এ সকল অনিরাপদ ট্রলার বা নৌযানের যাত্রী হয়ে প্রত্যেকদিন পারাপার হচ্ছে চরাঞ্চলের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। এ কারণে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। কিন্তু এসব অবৈধ নৌযান বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

জানা গেছে, সাগর উপকূলীয় অঞ্চলে জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দুর্যোগ মৌসুম। আর এই দুর্যোগ মৌসুমে উপকূলবাসীর জন্য বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাস একটি চলমান প্রাকৃতিক সমস্যা। চলতি দুর্যোগ মৌসুমে সকল প্রকার অনিরাপদ নৌযান বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে বিভিন্ন নৌ-রুটে মানা হচ্ছে না সে সকল নিয়ম। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা, বুড়াগৌরাঙ্গ ও তেতুলিয়াসহ উত্তাল নদী গুলোতে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদন বিহীন ছোট ছোট ট্রলার ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ইঞ্জিল চালিত নৌকায় নিজেদের কাজের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে পারপার হয় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের নৌ-দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

চরঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ থেকে গলাচিপা, কোড়ালিয়া থেকে চালিতাবুনিয়া, চরমোন্তাজ থেকে উলানিয়া ও গহীনখালীসহ বিভিন্ন নৌ-রুটে ফিটনেস বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল করছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীর সাথে সড়ক পথে জেলা শহরের কোন প্রকার সংযোগ নেই। এছাড়াও এখানকার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ২ ইউনিয়ন তথা চরমোন্তাজ ও চালিতাবুনিয়া উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন। এসব বিচ্ছিন্ন দ্বীপের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আগেই উপকূলীয় এলাকায় এসব অবৈধ নৌযানের পরিবর্তে নিরাপদ নৌ-যান সার্ভিস চালু করার দাবি সাধারণ মানুষের।রাঙ্গাবালির সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ট্রলার মালিকরা অধিক লাভের আশায় যাত্রীর সাথে মাল বোঝাই করে নেয়। তাতে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের কষ্টের সীমা থাকেনা। যার কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে নদী পারাপার হতে হয়।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। দুর্যোগ মৌসুমে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলারে যাত্রী চলাচল করলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পরে। আমরা এ ব্যাপারে অচিরেই পদক্ষেপ নেবো।

(এসডি/এএস/সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test