E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্কুল থাকলেও নেই রাস্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভরসা ডিঙি নৌকা!

২০২১ সেপ্টেম্বর ১৪ ১৫:২৯:৩৪
স্কুল থাকলেও নেই রাস্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভরসা ডিঙি নৌকা!

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘ দিন যাবৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের ধুপাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাই দীর্ঘ দিন পর স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৩-১৪ সালে বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ধুপাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে সব শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪০ জন। বর্ষাকালে বিদ্যালয়ের চার পাশেই বর্ষার পানিতে টইটুম্বুর থাকায় এবং বিদ্যালয়টিতে শিশুদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছোট ডিঙি নৌকা।

উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধুপাখালী পাঁচাটিয়া হাওড়ে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতে মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। বর্ষা মৌসুমে ছোট ডিঙি নৌকা দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় পানিতে পড়ে গিয়ে কাপড়, বই ভিজিয়ে ফেলে, এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ারও শঙ্কা থাকে। বর্ষা মৌসুম ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময় শিক্ষার্থীরা জমির আইল দিয়ে আসতে গিয়ে ধান খেতে পড়ে বই-খাতা ভিজে যাওয়ারও ঘটনাও ঘটে।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আপন ও হাসি বলেন, রাস্তা না থাকায় বর্ষাকালে আমাদের নৌকায় করে স্কুলে আসতে হয়। অনেক সময় নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে বই-খাতা সব ভিজে যায়। স্কুলের জন্য একটা রাস্তা নির্মাণ হলে আমাদের স্কুলে আসতে অনেক সুবিধা হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, রাস্তা না থাকায় অনেক ভোগান্তি হয়। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে চায় না। অভিভাবকরা বাচ্চাদের দিতে চান না। বর্ষা মৌসুম সমস্যা আরও বেশি হয়। ডিঙি নৌকা দিয়ে আসতে গিয়ে অনেক সময় পড়ে বই-খাতা ভিজে যাওয়ারও ঘটনাও ঘটছে। বর্তমানে সব শ্রেণি মিলিয়ে স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৪০ জন। রাস্তা না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নও হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন লিটন বলেন, গ্রামীণ পাকাসড়ক থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় এমপির মাধ্যমে একটি প্রকল্প হাতে পেলেও জায়গা সংকটের কারণে রাস্তার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test