E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কলাপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা

২০১৪ এপ্রিল ২৩ ২০:৩৭:০০
কলাপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় লম্পট প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা।

কলাপাড়ার বাদুরতলী কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মো. জহিরুল ইসলাম (মজিবর) এর বেপরোয়া যৌন হয়রানীতে অনেক অভিভাবক ছাত্রীদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনার কারণে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানজিং কমিটির সদস্যরা।

সরেজমিনে জানা যায়, বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ১০/১২ ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষক শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে। প্রতিদিনই তার কক্ষে ডেকে কোনো কারণ ছাড়াই তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেওয়া সহ অশ্লীল কথা বলত।

ওই প্রধান শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে লাঞ্চনার শিকার হয়ে পঞ্চম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর। লাঞ্চনার শিকার হয়ে ওই শিক্ষার্থীর মাথা ফেঁটে যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে কোচিং ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে (১১) শ্রেনী কক্ষে ডেকে নিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনা বিদ্যালয়ের অপর এক ছাত্রী দেখে ফেলায় তাকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শাসিয়ে দেয়।

এমনকি লাঞ্চনার শিকার ছাত্রীকে এ ঘটনা কাউকে জানালে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখায়। ওই ছাত্রী এ ঘটনা তার মা-বাবাকে জানালে মেয়ের সম্মানের কথা চিন্তা করে তারা স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় শনিবার স্কুলের অন্য ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের জানালেও তারা প্রধান শিক্ষকের ভয়ে কোনো কথা বলেনি।

অভিভাবকরা জানান, আগামী শুক্রবারের মধ্যে এই প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক বিচার না করলে শনিবার থেকে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেবেন বলে আল্টিমেটাম দেন।

অভিভাবকরা আরো জানান, জহিরুল ইসলামের যৌন হয়রানীর শিকার হয়ে একাধিক ছাত্রী ক্লাসরুমে প্রধান শিক্ষক ব্লাক বোর্ডে অংক করলেও হাতে লাগা চক পরিস্কার করতো ছাত্রীদের ওড়না টেনে নিয়ে। বিকেলে কোচিং ক্লাসে অংক করালেও প্রায় প্রতিদিনই দুই একজন ছাত্রীকে তার রুমে ডেকে কোলের কাছে নিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত বুলাতো।

খাতায় অশ্লীল ছবি একে তাদের দেখাতো। একথা কাউকে বললে পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকিসহ স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখানোর কারনে শিশুরা এতোদিন এই কথা গোপন রাখতো। এমনকি বাবা-মাকেও এই ঘটনা ভয়ে জানায়নি বলে একাধিক অভিভাবক জানান।

(এমপি/এলএস/এটি/এপ্রিল ২৩, ২৯১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test