E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি

২০২১ নভেম্বর ১৯ ১৬:৩৪:৩৭
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি

আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) : এক সময় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ঢেঁকির ব্যবহার থাকলেও বর্তমানে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। মাঝে মধ্যে পাওয়াটাও দুষ্কর হয়ে ওঠেছে।

আগের দিনে গ্রামের নারীরা ধান, চিড়া, চালের গুড়া, পায়রার ছাতু, ডাল ও মশলাসহ নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় নানান সামগ্রী তৈরি করতেন ঢেঁকিতে। কিন্তু কালের বিবর্তনে যন্ত্র নির্ভর সভ্যতার যুগে তা হারাতে বসেছে।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে এখন আর তেমন ঢেঁকি দেখা যায় না। নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলে মেয়েরা এই ঢেঁকির সঙ্গেও পরিচিত নন। শহর এলাকায় বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েদের কাছে ঢেঁকির কথা বললে অনেকেই চিনেন না। উল্টো প্রশ্ন করেন ঢেঁকি আবার কি জিনিস !!

শহর ছেড়ে গ্রামগঞ্জে গেলে এখনো কিছু কিছু বাড়িতে ঢেঁকি দেখা যায়। পুরো শীত আসার কয়েকদিন বাকি থাকলেও সেসব এলাকায় দেখা যায় নারীরা পিঠা তৈরির জন্য ঢেঁকিতে চাল গুড়া করছেন।

বিভিন্ন এলাকার নারীরা বলেন, এক সময় ঘরে ঘরে ঢেঁকি থাকলেও এখন আর তেমনটা নেই, এখন সারা গ্রাম খোঁজলে দু’একটি বাড়িতে ঢেঁকি পাওয়া যায়। এখন আর আগের মতো ঢেঁকির ব্যবহারও হয় না। তাই ঢেঁকি হারিয়ে যাচ্ছে। সব বাড়িতে ঢেঁকি না থাকায় চাল নিয়ে এক ঢেঁকিতে সিরিয়াল দিয়ে অনেকে চালের গুড়া তৈরি করছেন।

আগের মানুষ ঢেঁকিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চালের গুড়া তৈরি করতেন । সেই সঙ্গে মরিচ, হলুদ, জিরা ইত্যাদি মশলাও তৈরি করতেন ঢেঁকিতে।

বৃদ্ধা এক নারী বলেন, রাইচমিল হওয়ায় নারীদের এই কষ্ট এখন দূর হয়েছে। সময় নষ্ট করে এখান আর ঢেঁকিতে কাজ করতে হয় না। এখন নারীরা ঢেঁকিতে শুধু পিঠার জন্য চালের গুড়াই তৈরি করেন তাও আবার সকলে নয়। অনেকেই এখন মিল থেকে চালের গুড়াও করিয়ে আনেন।

শীত আসলে ঢেঁকির খোঁজ পড়ে, না হলে সারা বছর এটি পড়ে থাকে অবহেলা আর অযতেœ। তাই দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি।

(এন/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test