E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মতলবে চাল গম আত্মসাতের তদন্ত, দুদকের মামলা

২০১৪ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৮:১০:৩২
মতলবে চাল গম আত্মসাতের তদন্ত, দুদকের মামলা

চাঁদপুর প্রতিনিধি : মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও খাদ্য গুদামের ১৭শ’ বস্তা চাল ও গম আত্মসাত ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে গত ৭ জুলাই দুদক মামলা করেছেন বলেও জানা গেছে। নায়েরগাঁও খাদ্য গুদামের ১৭শ’ বস্তা চাল ও গমের হিসেব দিতে না পারায় খাদ্য গুদামের নিয়ন্ত্রক চাই থোয়াই মারমা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও খাদ্য পরিদর্শক মোঃ কামরুল ইসলামকে বরখাস্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারপর খাদ্য গুদামের সঠিক মজুদ নির্ণয়ের লক্ষ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১৫ জুলাই গুদামের সঠিক মজুদ নির্ণয়ের লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করার পর ২৪ জুলাই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চাঁদপুরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ ইমরান আহম্মেদ তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করেন।

নায়েরগাঁও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুভাষ চন্দ্র নম জানান, খাদ্য গুদামের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৭শ’ বস্তা চাল ও গম আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ইতিপূর্বে সরজমিনে প্রতিবেদন রিপোর্ট দাখিল করেছেন। উক্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ৩জনের মধ্যে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে অভিযুক্ত করে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র নম এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত অপর দুজন খাদ্য গুদামের নিয়ন্ত্রক চাই থোয়াই মারমা ও খাদ্য পরিদর্শক মোঃ কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

উল্লেখ্য, নায়েরগাঁও খাদ্য গুদামের ১৭শ’ বস্তা চাল ও গম (যার বাজার মূল্য ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ৮শ’ ১৯ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগ উঠে ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুনা লায়লা গত ১ জুলাই সরজমিনে গিয়ে ঐ খাদ্য গুদামে রক্ষিত চাল ও গমের বস্তার স্টক তদন্ত করে গরমিলের সত্যতা খুঁজে পেয়ে একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমা দেয়। পরে জেলা প্রশাসক মোঃ ইসমাইল হোসেনের নির্দেশে খাদ্য গুদামটিতে সীলগালা করে দেয়া হয়। পরে এ ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠনের পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সুভাষ চন্দ্র নমকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

(এমজে/এটিআর/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test