E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

উদ্ধার কাজে বিন্দুমাত্র সমন্বয়হীনতা ছিল না: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

২০১৪ এপ্রিল ২৪ ১৯:১৭:৪৮
উদ্ধার কাজে বিন্দুমাত্র সমন্বয়হীনতা ছিল না: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : রানা প্লাজা ধসের পর উদ্ধার কাজে কোনো সমন্বয়হীনতা ছিল না দাবি করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজেই মনিটর করেছেন।

তিনি যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবাই তাৎক্ষণিকভাবে গিয়ে তদারক করেছে। প্রধানমন্ত্রী এখনও হাত-পা হারানোদের সহায়তা দিচ্ছেন, খোঁজ-খবর রাখছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন। এসময় পুলিশের মহাপিরিদর্শক, র‍্যাব, বিজিবি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার ও বিডিপিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজার ঘটনায় যে মামলা রয়েছে তার অভিযোগপত্র খুব দ্রুত দেয়া হবে। এ বিষয়ে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছ।

ঘটনার পর র‍্যাবের মাধ্যমে সোহেল রানাসহ মোট ২১ জনকে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন জামিনে রয়েছেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ২৪ এপ্রিলের আগে তদন্ত কাজ শেষ হলে আমরা সন্তষ্ট হতাম। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত কাজ শেষ হবে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান, ভবন ধসের ঘটনায় চারটি মামলার মধ্যে দু’টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ভবনটি বিধ্বস্ত হয়, যাতে ১১৩৫ জন লোক প্রাণ হারায় এবং ২৪৫৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নগর এলাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনায় এত দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে বিপুল সংখ্যক প্রাণ রক্ষা করার ঘটনা একটি বিরল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে রানা প্লাজা ধসের ঘটনাটি একটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এবং স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, আনসারসহ সমস্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার কাজ চালানো হয়েছে। সবার সহযোগিতায় অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি, বলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা সরকারে প্রস্তুতি আছে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। শ্রমিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিল্ডিং সেফটি নিয়ে কাজ হচ্ছে। আর আমাদের নিকট যদি কোন মন্ত্রণালয় সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা তাদের সহযোগি করবো। এছাড়া রানা প্লাজার উদ্ধার অভিযানকালে বিশেষ করে অগ্নি প্রতিরোধ ও অগ্নি নির্বঅপন, প্রথমিক চিকিৎসা, জরুরী নির্গমন ও ঘটনাস্থল থেকে ভবনের ভাঙ্গা অংশ অপসারণে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে সহযোগিতা করবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এ জন্য সরকার যে কোন দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে আরও আধুনিকায়ণে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন স্থাপনের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে স্টেশন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। চলমান প্রকল্পগুলি সম্পন্ন হলে ২০১৬ সাল নাগাদ ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা হবে ৫৪৯টি।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত না রানা প্লাজা ট্রাজেডির উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি সোহরাওয়ার্দী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার নেতৃত্বে উদ্ধার কাজ চলে। অবশ্যই তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

এক বছর আগে এ দিন ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মস্পর্শী দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে হতাহত হয় হাজারেরও বেশি মানুষ। দুর্ঘটনায় আহতরা এখনও দুঃসহ যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test