E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা

২০২১ ডিসেম্বর ১৯ ২১:২১:০৮
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা

মোঃ শান্ত, নারায়ণগঞ্জ সদর : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন যতই কাছে আসছে ততই উৎসবের আমেজ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রার্থী ও জনগণের মাঝে। কিন্তু কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানার দেখা মিলছে ওয়ার্ডের অলি-গলির বিভিন্ন দেয়ালে। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম। ব্যানার পোস্টার খুলে ফেলার কথা নির্বাচন কমিশন থেকে মাইকিং করার পরেও দেখা যাচ্ছে তা সরানোর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না কোন কাউন্সিলর প্রার্থীরাই।

সরজমিনে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী বিধিমালা মানার তোয়াক্কাই করছে না সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে ওয়ার্ডের বিভিন্ন দেয়াল গুলো।

জানা যায়, নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শাহজালাল বাদল ১২ ডিসেম্বর বিশাল মিছিল নিয়ে ্ওয়ার্ডে ঘুরতে দেখা যায়, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমান আনিস ১১ ডিসেম্বর বিশাল মিছিল নিয়ে প্রতীক ছাড়াই প্রচার-প্রচারণা চালায়, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউর রহমান মতি ও সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের প্রতিদিনই ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক করছে, ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমিন মোল্লা ও মহসিন ভূইয়ার দেয়ালে পোস্টার, ফেস্টুন সহ উঠান বৈঠকের নামে জনসমাবেস করেছে, ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইফতেখার আলম খোকন দেয়ালে পোস্টার ও উঠান বৈঠক করেন, এছাড়াও ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল হাসান রিয়েল, সেলিম আহমেদ হেনা, মহসিন উল্লাহ, ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রবিন, ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী খান মাসুদ সহ আরো অন্যান্য প্রার্থীরাও বিধিমালা না মেনেই নির্বাচনী প্রচারনা, দেয়ালে আঠা দিয়ে পোস্টার লাগানো, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে প্রতিদিনই নগরীর কোথাও না কোথাও কোন না কোন সম্ভাব্য প্রার্থীর শোডাউন, উঠান বৈঠক অথবা গণসংযোগের সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।

নির্বাচনী বিধিমালায় ধারা ৫ এ বলা হয়েছে কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করিতে পারবেন না। এদিকে ধারা ৭(ক) এ বলা হয়েছে পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোন জনসভা বা শোভাযাত্রা করিতে পারিবেন না। (খ) এ বলা হয়েছে পথসভা ও ঘরোয়া সভা করিতে চাইলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টা পূর্বে তাহার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে, যাহাতে উক্ত স্থানে চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিতে পারে।

এদিকে ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনী যাচাই বাছাইয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে কিন্তু তা তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন প্রার্থীরাই চালিয়ে যাচ্ছে মার্কা ছাড়াই জোরেসোরে প্রচার-প্রচারণা। প্রসাশনেরও দেখা যায়নি কোনো প্রকার তৎপরতা। এযেন লাগামহীন ঘোড়া।

এই নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানায়, নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্ঘন করে প্রচার প্রচারনা চালালেও নির্বাচন কমিশন এবিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিতে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই আমাদের সন্দিহান নির্বাচন কি আধো সুষ্ঠ হবে?

সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালাম জানান, বাছাই না হওয়ার পূর্বে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। আর প্রশাসনও নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করছে। তাহলে দেখে মনে হচ্ছে প্রসাশনের থেকে প্রার্থীরাই শক্তিশালী বেশি। নাহলে কি ঘোড়ায় গলদ?

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে বলেন, আমরা আচরণ বিধি লঙ্ঘণকারী সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং যাছাই-বাছাইয়ের পর থেকে প্রার্থীদের আরো সর্তক তরে দেয়া হবে। কেউ যদি আচরন বিধি লঙ্ঘন করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রার্থীতা বাতিল ও জেল জরিমানা করা হবে।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ১৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test