E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাজ শেষ হতে না হতেই ভাঙন, রাস্তার উপর বাঁশের মাচাল

২০২২ জানুয়ারি ০২ ১৭:২৩:৪৭
কাজ শেষ হতে না হতেই ভাঙন, রাস্তার উপর বাঁশের মাচাল

এ কে আজাদ,  রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কটি গড়াই নদীর বেড়িবাঁধের ও কাজ করে। এখন এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক টি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তবে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও ইউপি চেয়ারম্যান নিজেদের অর্থায়নে বাসের মাচাল করে দিয়েছেন। কোন উপায় অন্ত না পেয়ে প্রয়োজনের ত্যাগীদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। গত দুই মসের ও অধিক সময় এভাবেই মানুষ চলাচল করলেও কতৃপক্ষের নজর নেই।

সরেজমিনে উক্ত এলাকায় গেলে দেখা যায় গড়াই নদীর বেড়িবাঁধ এর পাকা রাস্তার ৩০ থেকে ৪০ মিটার ধসে গেছে নদীতে। এলাকাবাসী বাঁশ দিয়ে মাচাল করেছে, তার উপর দিয়ে পথচারী ও ছোট ছোট গাড়ি চলাচল করছে। আশংকা রয়েছে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এছাড়াও পুনরায় নদীতে পানি বৃদ্ধির সময় কয়েক শত বসত বাড়ি ও ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হবে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ভাঙন রোধে ২০০ মিটার লেঞ্চের মধ্যে দুটি প্যাকেজে ৩৯ লাখ টাকা কাজ করা হয়েছে ।কাজটি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মারুফ এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, আমার এলাকা নদী ভাঙন এলাকার যে বাধ হইছে ৪০ লক্ষ টাকা কাজ, এখানে নুন্যতম টাকার কাজ ও হয় নাই। এখানে কেউ স্থানীয় কাউকে কাজ বুঝে দিয়ে যায় নাই। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বার এলাকাবাসীদের নিয়ে এই মাচাল দিয়েছে, যাতেকরে মানুষ চলাচল করতে পারে। এখানে ১০ লক্ষ টাকার ও কাজ হয় নাই।

অন্য আর এক জন বাসিন্দা বলেন, এই রাস্তাটি উপজেলার সাথে যোগাযোগের এক মাত্র অবলম্বন। উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে যেতে হলে এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এখন এই রাস্তার যে অবস্থা তাতে কোন গাড়ি চলাচলের অবস্থা নাই। অসুস্থ রোগীকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় অন্য একজন বাসিন্দা নিয়ে যায় নদীর ভেতর, সেখানে দেখায় বাবু ভর্তি বস্তা যে গুলো দেবার কথা ছিলো ভাঙন স্থলে। তবে তারা কাজে গড়িমসি করে পানি বৃদ্ধির সময় ফেলে রেখে চলে যায়। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ এই কাজ যে কন্টাকটার করছে তাকে যেনো আর কাজ না দেওয়া হয়। ও ৫/৭ লক্ষ টাকার ও কাজ করে নাই। স্থানীয়রা কথা বলতে গেলে ভয়ভীতি দেখায়ে চলে গেছে।

একজন ভ্যান চালক বলেন, এখানে থেকে অনেক গাড়ি নদীতে পরে গেছে। আমার প্রতিনিয়ত কষ্টে এখান দিয়ে চলাচল করি। তবে এখান দিয়ে মাঠে ফসল বাড়িতে নিতে পারছি না।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কালুখালি পওর শাখা কর্মকর্তা ইকবাল সরদার বলেন, এবার ওই রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হবে।যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করেছিলো তারাই করে দিবে। এখানে নতুন করে বাজেট হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন কাজ শেষ করার এক বছরের মধ্যে ভেঙে গেলে যারা কাজ করছে তাদেরকেই করতে হয়। এখানে নতুন করে বাজেট হয় না।

(একেএ/এএস/জানুয়ারি ০২, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test