E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হরিণাকুণ্ডুতে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জমজমাট ব্যবসা

২০২২ জানুয়ারি ০৩ ১৭:৪৬:২৭
হরিণাকুণ্ডুতে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জমজমাট ব্যবসা

অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ২০২১ সালের ২৩ আগষ্ট তারিখের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করলে তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টাস্কর্ফোসের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হলেও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করনে কোন ভূমিকা রাখেনি ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস। ফলে হরিণাকুণ্ডুতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী সেবার নামে চলছে প্রতারণা। মরছে মানুষ। অপরদিকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।

অভিযোগ উঠেছে, অবৈধ পন্থায় গড়ে ওঠা এ সব ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, লাইসেন্সও যন্ত্রপাতি নেই। নেই পরীক্ষার উপকরণ, ডাক্তার ও নার্স। শুধু রোগীদের সেবার নামে চলছে প্রতারণা ও ভোগান্তি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হরিণাকুন্ডুতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার নামে অসহায় রোগীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। এ রকম একটি লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার হচ্ছে ভাই ভাই বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

সম্প্রতি বরিশখালীর লিটু (৪৫) নামের একজন রুগীর মৃত্য হয় এই হাসপাতালে। যার ফলে এই হাসপাতালের মালিকের নামে আদালতে মামলা করেছে রুগির স্ত্রী। আপারেশানকারী ডাক্তারের বিরুদ্ধেও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ব্যাবস্থা গ্রহন করে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে আবার ক্লিনিকটি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই ক্লিনিকটির বেহালদশা।

সরকারি বিধিমতে একটি ক্লিনিকে কমপক্ষে তিন জন এমবিবিএস চিকিৎসক, ছয় জন নার্স ও দুই জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকতে হয়। প্রতিটি শয্যার জন্য থাকতে হয় ৮০ বর্গফুট জায়গা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অপারেশন থিয়েটার, আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং নারকোটিকসের লাইসেন্স থাকতে হবে। এর সঙ্গে আরও দরকার হবে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন (টেক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর) ও বিআইএন (বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর), সঙ্গে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। তবে শয্যা সংখ্যা বেশি হলে আনুপাতিক হারে জনবল থাকতে হবে কিন্তু বাস্তবে এর কোনটাই নই। একই অবস্থা এই মালিকের অন্যপ্রতিষ্ঠান ভাই ভাই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। রবিবার গনমাধ্যম কর্মীরা ভাই ভাই বেসরকারি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে একজন ডাক্তার এবং নার্সেরও দেখা পান নাই। হাসপাতালের মালিক মোঃ আসমত আলীর কছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন শুধু অপারেশনের সময় ডাক্তার থাকে। ক্লিনিক মালিকের এ কথায় প্রশ্ন উঠেছে শুধু অপারেশনের সময় ডাক্তার থাকলে অন্যসময় রোগী দেখবে কে ?

অভিযোগ উঠেছে, এই হাসপাতালে মাঝে মধ্যে মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট দিয়ে সিজারিয়ান অপারেশনও করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, জেলার ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ পাচ্ছি। আগে বহু ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছিল। অনেকে অবকাঠামো সুন্দর কেরেছে। শর্ত পুরণ সাপেক্ষে অনেক ক্লিনিক চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test