E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আইন প্রণেতা আব্দুল হাইয়ের আইন ভঙ্গের কেচ্ছা!

২০২২ জানুয়ারি ০৩ ১৯:৪৮:৪৮
আইন প্রণেতা আব্দুল হাইয়ের আইন ভঙ্গের কেচ্ছা!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : উনি আইন প্রণেতা। মহান জাতীয় সংসদে আইন পাশ করেন। কিন্তু সেই আইন নিজেই ভঙ্গ করে আইন ভঙ্গের এক নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছেন। বলছিলাম ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের কথা। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন, কিন্তু কে শোনে কার কথা? বেচারা প্রশাসন একজন সংসদ সদস্যের কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পন করে চলেছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে সারা শৈলকূপায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নৌকার ভোট চেয়ে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক বলেছেন, উনাকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও যদি তিনি ভোট চেয়ে বেড়ান তাহলে আমাদের কি করার আছে? প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, শৈলকূপার উত্তপ্ত ভোটের মাঠে উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন এমপি আব্দুল হাই।

ভোটের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় এমপি মো. আব্দুল হাই নির্বাচনী আচরণ বিধি ভেঙে প্রতিদিনই নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে ভোটের সভা সমাবেশ করছেন। সোমবার শৈলকূপার ফুলহরি ইউনিয়নের চাঁদপুর, বেড়বাড়ি, দেবীনগর, ফুলহরি ও পুটিমারি গ্রামে প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এছাড়া রবিবার শৈলকূপার আবাইপুর ও কাঁচেরকাল ইউনিয়নে তিনি একই ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। এর আগে শনিবার ও রবিবার উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নে হাটফাজিলপুর হাইস্কুল মাঠে নৌকার সর্মথনে আয়োজিত এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তব্য রাখেন। যদিও সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাইকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। ২৮ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুস ছালেক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জারি করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ছালেক জানান, নির্বাচন কমিশন ও তিনি চিঠি দিয়ে সংসদ সদস্য আব্দুল হাইকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এরপরও প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন বলে নতুন করে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। একই কথা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার জুয়েল।

ফুলহরি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামিম আহম্মেদ জানান, ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন অভিযোগ করেন, তার বিজয় ঠেকানোর জন্য স্থানীয় এমপি ও প্রশাসন এক হয়ে কাজ করছে। এমপিকে তারা কোন ভাবেই ভোটর মাঠ থেকে বিরত রাখতে পারেনি। এতেই বোঝা যায় শৈলকূপার প্রশাসন অসহায় ভাবে আত্মসমর্পন করেছেন। কিন্ত আমার পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা কোন পেশীশক্তি দিয়ে ঠেকানো যাবেনা।আগামী ৫ তারিখে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি নির্বাচিত হব।

সংসদের আইন ভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে প্রেরিত চিঠি এমপি সাহেবকে অবহিত করা হয়েছে। খবর পাচ্ছি তারপরও তিনি নির্বাচনী কাজে অংশ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমাদের আর করার কিছুই নেই। আমরা অসহায়।

(একে/এএস/জানুয়ারি ০৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test