E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রবিবার থেকে টিকা পেতে পারেন টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থীরা 

২০২২ জানুয়ারি ১৯ ১৮:১৫:৪১
রবিবার থেকে টিকা পেতে পারেন টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থীরা 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলা সদরের শিক্ষার্থীরা গত সোমবার থেকে প্রথম ডোজ টিকা নিতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও করোনা টিকা পাননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টিকা নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। গত তিন দিন ধরে তারা শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ টিকা কেন্দ্রে গেলে তাদের টিকা না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে , টিকা গ্রহীতাদের লম্বা লাইন। সেই লাইনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানালেন টিকা দেওয়া হবে না শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় নষ্ট করে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের ফিরে আসতে হচ্ছে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী চৈতী বলেন, টিকা দিতে এসে আমি ৩ দিন ধরে ঘুরতেছি। পরে লাইনে ঘন্টা পাঁচ দাঁড়িয়ে থেকে যখন টিকাদান কারীর কাছে পৌঁছে গেলাম তখন আমি শিক্ষার্থী এ পরিচয় পাওয়ার পর আমাকে বলা হলো- শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না । ২-৪ দিন পরে আসলে টিকা পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু আমি নই, এরকম শত শত শিক্ষার্থী টিকা নিতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে প্রতিদিন। অথচ আমরা ক্লাস বাদ দিয়ে,সময় ও অর্থের অপচয় করে প্রতিদিনই এমনভাবে টিকা না নিয়ে আশাহত হয়ে বাড়ী ফিরছি। এটা কাম্য নয়। আমরা শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে এমনটা আশা করি নাই।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে আমরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তথ্য চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি দুইবার দুই রকম তথ্য দিয়েছেন। যার ফলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা টিকা দিতে পারছে না। জেলা শিক্ষা অফিসের সমন্বয়হীনতার কারণে টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা নতুন তালিকা পুনরায় পাঠালেই আমরা টিকা দিতে পারবো ।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রোকেয়া খাতুন বলেন, আমাদের পাঠানো তথ্য ২১ সালের ছিলো। নতুন বছরে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ায় আবার নতুন করে তালিকা চাওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলোতে। তালিকা সংগ্রহ করতে ২/৩ দিন লাগবে। আগামী রবিবার নাগাদ শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম বলেন, সদর উপজেলা থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিলো, সেই অনুযায়ী তালিকা করে স্বাস্থ্য বিভাগকে পাঠানো হয়েছিলো। আমার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সদর উপজেলার শিক্ষার্থীদের তথ্য দেওয়া হয়। সেই তথ্য আমি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে পাঠিয়েছি।

(এসএম/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test