E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নোয়াখালীর সুধারামে খাল খননের নামে ভূমি মালিকদের গাছপালা উজাড় করার অভিযোগ

২০২২ জানুয়ারি ২৩ ১৭:১৭:১৬
নোয়াখালীর সুধারামে খাল খননের নামে ভূমি মালিকদের গাছপালা উজাড় করার অভিযোগ

ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুধারাম ৪নং কাদির হানিফ ইউনিয়ন পশ্চিম রাজারামপুর গ্রামের ভূমির মালিকদের মালিকীয় দখলিয় জমিনের কিছু কিছু অংশ দিয়া মহিলা কলেজের পূর্বে নোয়াখালী খাল। এ খালের আশ পাশের মালিকানা ভূমির পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খননের অজুহাতে এলাকাবাসীর জমি বসত বাড়ীর বাগান, গাছ-পালা উজাড় করে এলাকার বহু মানুষের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার ক্ষতিপূরণ দাবী করে পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

সুত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর সুধারাম ৪নং কাদির হানিফ ইউনিয়ন পশ্চিম রাজারামপুর গ্রামের পিতা- মৃত আব্দুস ছাত্তারের পুত্র মোঃ জসিম উদ্দিন হারুন সদর থানাধীন ১০১ নং পূর্ব লক্ষীনারায়নপুর মৌজার জিলা জরিপী ১৬০ নং খতিয়ান ভুক্ত এম.আর.আর জরিপী ১৫৬ নং খতিয়ানের ১৮৬৪ দাগের পিতা ১২০ শতক জমি খরিদ করিয়া দীর্ঘ বৎসর যাবত সরেজমিনে ভোগ দখলে থাকিয়া বসত বাড়ী, বাগান, মসজিদ নির্মান করিয়া বিভিন্ন জাতের ফলজ ও বনজ গাছ পালা লাগাইয়া বসবাস করিয়া আসছেন তিনি।

তিনি বলেন, উক্ত ভূমির দাগে আলত্বাফুলবারী জামে মসজিদ ও আলত্বাফুলবারী ইসলামী ফাউন্ডেশন যাহা সরকার অনুমেদিত (রেজিঃ নং ১১৭৩৪) প্রতিষ্ঠান রহিয়াছে। এ ছাড়া উক্ত মৌজা ও ভূমির দাগের আশ পাশের বাসিন্দাগন বিভিন্ন খতিয়ানে ও দাগের ভূমি খরিদ ও ওয়ারিশ সূত্রে মালিক দখলকার হইয়া দীর্ঘ বৎসর যাবত বসতঘর, বাগান, পুকুর খনন করিয়া সরজমিনে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছেন। কিন্তু বিভিন্ন মালিকদের মালিকীয় ও দখলিয় জমিনের কিছু অংশ দিয়ে মহিলা কলেজের পূর্বে (পূর্ব লক্ষ্মীনারায়নপুর) নোয়াখালী খাল। এ খালের আশ পাশের ভূমির মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড বা সরকার বাহাদুর নহে উক্ত মৌজার ভূমি জিলা এম.আর.আর জরিপ চলাকালে খাল ছিল না। পরবর্তীতে ভিন্ন কারনে মালিকীয় জমিনের উপর দিয়ে দৃশ্যমান খাল পানির প্রবাহের কারনে মালিক দখলিয় জমি ভাঙ্গিয়া ছোট আকারের খাল বড় হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমান পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী অধিন উক্ত খাল খননের কার্যক্রম পরিচালনা করা কালে এ গ্রামের খালের দুই পাশের বাসিন্দাদের বসতবাড়ী ঘর, গাছ পালা উজাড় করিয়া এলাকার বহু মানুষের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। যাহা আইন পরিপন্থি ও মানবতা বিনষ্টকারী কার্যক্রম বলে মনে হয়।

মোঃ জসিম উদ্দিন হারুন লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, ৩-৪ কিঃ মিঃ গোলাকার খালের দুই মাথায় নোয়াখালী খালের সরকারের পূর্বের রেকর্ডীয় খালের দুই মাথায় সরকারী নিজস্ব সম্পত্তির মধ্যদিয়ে ১৪০০-১৫০০ ফুট জায়গায় খাল খনন করিলে আমাদের মালিকীয় দালীয় জমির বাড়ী-ঘর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জনপদসহ বহু সাধারণ জনগণের সম্পত্তি রক্ষা পাইবে। দৃশ্যমান খাল ও খালের দুই পাশের জমি বাড়ীঘর সরকারের সম্পত্তি নয়। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড, নোয়াখালী বরাবর ক্ষতিপূরন দাবী করে অভিযোগ দাখিল করেছেন এলাকাবাসী।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ২৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test