E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টানা বর্ষণে নাটোরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২১ ১৮:০৫:২৩
টানা বর্ষণে নাটোরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে শনিবার রাত থেকে টানা প্রবল বর্ষণে শহরের অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দা ও  স্কুল ও অফিসগামীদের বিড়ম্বনাসহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারনে উঠতি বিভিন্ন ফসল ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ ক্ষতির আশংকাকে নাকচ করে দিয়ে বলছেন, বৃষ্টিপাতে ক্ষতি নয়, কৃষকের সেচ সুবিধার সহায়তা হবে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শনিবার রাত ১১ টা থেকে শুরু রোববার বিকেল পর্যন্ত টানা ১৮ ঘন্টার প্রবল বর্ষনে নাটোর শহরের আলাইপুর, কানাইখালী,চৌকিরপাড়,হরিশপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ও বাড়ি ঘরে পানি জমে গেছে। ফলে এসব এলকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় স্কুল ও অফিসগামীদের বিড়ম্বনা সহ দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।

শহরের নিচু এলাকাগুলোতে ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে পড়ায় গৃহীনীরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এলাকাবাসীরা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের এসব জায়গায় জলাবব্ধতা দেখা দেয়। এজন্য তারা নাটোর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে নির্মিত অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে দায়ী করেন। অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভা থেকে ড্রেন নির্মান করা হলেও সেই ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাষন হয় না। কারণ মাঝে মধ্যে পয়নিষ্কাষনের ব্যবস্থা গ্রহনের কথা থাকলেও তা করা হয় না। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পৌরসভাকে বলার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। অপরদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে রোপা আম ও উঠতি আউশ ধান ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। সদ্য রোপনকৃত সবজি আবাদ নিয়েও কৃষকরা রয়েছে আতঙ্কে।


নাটোর পৌরসভার মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুন জানান, বাড়ির ময়লা অবর্জনা ড্রেনে ফেলার কারনে পানি সময়মত নিষ্কাসনে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ধীরে পানি নামায় কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষি বিভাগ সুত্র মতে, নাটোর জেলায় ১৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের রের্কড করা হয় ২৭ দশমিক ৬৬ মিলিমিটার।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আলহাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, এই বৃষ্টিপাতে ফসলের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বরং কৃষকদের রোপা আমন ক্ষেতে সেচ সহায়তা হবে। তবে সদ্য রোপনকৃত সবজি ক্ষেতে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। জেলার কোথাও ফসলের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

(এমআর/এএস/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test