কুলিয়ারচরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

ধর্ষিতার বাবা (৫০) অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে তার ৬ বছরের শিশু কন্যা ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিলো না। শিশুটি প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিলো। এসময় তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো. নাছির মিয়ার বখাটে ছেলে এমরান মিয়া ওরুফে ইমরান (১৮) তার শিশু কন্যাকে ফুটবল মার্কার বড় একটি পোস্টার দেওয়ার কথা বলে ও টিভি দেখানোর লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে এমরানের খালি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে এমরান পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়ির উঠানে এসে কাঁদতে থাকে। শিশুটির মা-বাবা তাকে জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি খুলে বলে। শিশুর মা-বাবা বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে ধর্ষিতা শিশুটিকে নিয়ে প্রথমে কুলিয়ারচর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। পরে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই শিশুর বাড়িতে সরেজমিনে গেলে শিশুর পিতা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এমরানের কঠিন শাস্তি দাবি করেন। এসময় অভিযুক্ত এমরানের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত লম্পট এমরান পলাতক রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে কুলিয়ারচর থানার এসআই মো. সাইফুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইখতেখার আনাম নোমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বুধবার বিকালে জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বে থাকা অবস্থায় ওই শিশুটির চিকিৎসা করার সময় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই শিশুর মায়ের লিখিত অভিযোগ পেয়ে বুধবার রাতেই কুলিয়ারচর থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং-০২। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা না নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিশুটির মা যে ভাবে অভিযোগ করেছে সে মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে। যদি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আলামতের জন্য ছেড়া হাঁপ প্যান্টটি সিজ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ধর্ষণের চার্জসীট দেওয়া হবে। এছাড়া আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেও মূল ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।

(এসএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২)